প্রায় ২২ বছর পরে ভোটার তালিকার সার্বিক সংশোধন হচ্ছে বিহারে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন’ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। গত বছর মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। সে কথা মাথায় রেখেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে ভোটার তালিকার আমূল সংস্কারে।
কমিশন সূত্রের খবর, এ বারে বিহারে বিশেষ ভাবে কড়াকড়ি হবে নতুন ভোটদাতাদের নাম তোলার ক্ষেত্রে। নাগরিকত্বের সুনির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়া ভোটার তালিকায় নাম তোলা যাবে না। কয়েকটি ক্ষেত্রে পিতার জন্মের শংসাপত্রও প্রয়োজন হবে। কারচুপির অভিযোগ এড়াতে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রস্তুতির প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অংশগ্রহণের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরের গোড়ায় ভোটের দিন ঘোষণার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন:
আগামী ২৫-২৭ অক্টোবর বিহার জুড়ে ছট পূজা। তার পরে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতে পারে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ভোটার সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৯৮ লক্ষ। যা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেড়ে হয় ৯ কোটি ২৯ লক্ষ। অর্থাৎ, পাঁচ বছরে ভোটার বেড়েছিল ৩১ লক্ষ। কিন্তু লোকসভা ভোটের ছ’মাসের মধ্যে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয় ৯ কোটি ৭০ লক্ষ! সেই হিসাবে ছ’মাসে ভোটার বাড়ে ৪১ লক্ষ! বিরোধীদের অভিযোগ, এদের অধিকাংশই ভুয়ো ভোটার। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর তিন দফায় বিহারে বিধানসভা ভোট হয়েছিল।