প্রতীপ চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরীকে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে আজ তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
একটি বেসরকার সংস্থা জয়সলমেঢ়ে হোটেল তৈরির জন্য ২০০৮ সালে এসবিআই থেকে ২৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। প্রতীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঋণ শোধ করতে না পারায় ওই সংস্থার বাজেয়াপ্ত করা ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ২৫ কোটি টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
প্রতীপ চৌধুরীর গ্রেফতারের পর স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, জয়সলমেঢ়ে ওই হোটেল তৈরির জন্য ২০০৭ সালে সংস্থাটিকে ঋণ দিয়েছিল তারা। কিন্তু তিন বছর ধরে হোটেলটি তৈরি করেনি সংস্থাটি। ২০১০ সালে সংস্থার মালিকের মৃত্যু হয়। এর পর ২০১০ সালের জুন মাসে ওই ঋণ এনপিএ-তে পরিণত হয়েছিল। ব্যাঙ্কের তরফে অনেক চেষ্টা করেও প্রকল্পটি শেষ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। এর পর ২০১৪ সালে অ্যালকেমিস্ট অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে (এআরসি) ওই সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এই সম্পত্তি বিক্রির এক বছর আগে, ২০১৩ সালেই স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে অবসর নিয়েছিলেন প্রতীপ। ২০১৪ সালে তিনি এআরসি-তে যোগ দেন। একটি সংবাদপত্রের দাবি, ২০১৭ সালে বাজারে ওই সম্পত্তির দাম ছিল ১৬০ কোটি টাকা। কম দামে সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ তুলে বেসরকারি সংস্থাটি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।
প্রতীপ চৌধুরীর গ্রেফতারি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নও উঠেছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার আজ এই গ্রেফতারিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। দুর্নীতির প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে?’’
কোনও নোটিস কিংবা সমন ছাড়া কী ভাবে প্রতীপ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক। স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এক কর্তার দাবি, আইনি প্রক্রিয়া মেনে গ্রেফতার করা হয়নি প্রতীপকে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নিয়ম মেনেই সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে ব্যাঙ্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy