সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দু’রকমের নীতি নিয়ে চলার অভিযোগ করে পশ্চিমের দেশগুলিকে কটাক্ষ করল বেলজিয়ামে সফররত নয়াদিল্লির প্রতিনিধি দল। সেই দলের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর ব্রাসেলসে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের উপরে সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে পশ্চিমের একাধিক দেশ নীরবতা পালন করে কেন।
‘অপারেশন সিঁদুরে’র পরে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিমণ্ডলী ৩৩টি দেশে পাঠানো হয়েছে। ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে পাকিস্তানের মদত দেওয়া ও এ ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন তাঁরা। মঙ্গলবার বেলজিয়ামে পৌঁছেছে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন দল। সেখানে সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গে আকবর বলেন, “বিশ্বে কি দু’টি আইন আছে? একটা আমেরিকা এবং পশ্চিমি দুনিয়ার জন্য আর অন্যটা ভারতের জন্য?” তিনি বলেছেন, “পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ আমাদের দেশকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে বার বার। কিন্তু পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিতে গেলেই কেন সংযমী হতে বলা হয়?”
আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ২০০১-এ বিমান নিয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আকবর বলেছেন, “৯/১১-র পরে ন্যায়বিচারের জন্য আমেরিকা ১২ হাজার কিলোমিটার পেরিয়ে এসে পাকিস্তানকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু ভারত মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরের জঙ্গি শিবিরগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে আমাদের সংযম দেখাতে বলা হয়।” আকবরের প্রশ্ন, “এক জন ভারতীয় স্বামীহারার চোখের জল কি এক জন আমেরিকান স্বামীহারার চোখের জলের চেয়ে কম বেদনার?ভারতীয়ের জীবন কি কম মূল্যবান?” তাঁর বার্তা, “আর নীরবতা নয়। দু’রকমের নীতি নয়। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস উপেক্ষা করা যাবে না বা অন্য রকমের আচরণ করা যাবে না। ন্যায়বিচার সমান হতে হবে। অজুহাতের সময় শেষ।” রবিশঙ্করও বলেছেন, “ভারত অতীতে ঢের সংযম দেখিয়েছে। এখন বিশ্বব্যাপী জবাব নেওয়ার পালা।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)