উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাসখানেক আগে। তবে এত দিন সরকারি বাসভবনই ঠিকানা ছিল জগদীপ ধনখড়ের। সোমবার সেই বাসভবন ছেড়ে সস্ত্রীক নতুন ঠিকানায় চলে গেলেন তিনি।
সোমবার থেকে ধনখড়ের নতুন ঠিকানা দিল্লির ছতরপুর এনক্লেভের একটি ব্যক্তিগত ফার্মহাউস। ওই বাড়িটি হরিয়ানার রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)-র প্রধান অভয় সিংহ চৌটালার। তবে সেখানে বেশি দিন থাকবেন না ধনখড়। তাঁর জন্য টাইপ-৮ বাংলো বরাদ্দ করা হবে কেন্দ্রের তরফে। সেই বাংলো যত দিন পর্যন্ত না বরাদ্দ হচ্ছে তত দিন চৌটালার ফার্মহাউসেই থাকবেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি।
সূত্রের খবর, ধনখড়ের জন্য ৩৪, এপিজে আব্দুল কালাম রোডে একটি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সেই বাংলো এখনও পুরোপুরি বসবাসের উপযোগী নয়। প্রয়োজন মেরামতের। সেই কাজ শেষ হতে প্রায় তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে। তার পরই আবার ঠিকানা বদল করবেন ধনখড়।
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান ধনখড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। পর দিন সকালেই সেই ইস্তফা গৃহীত হয়। ধনখড় ইস্তফাপত্রে লিখেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। যদিও এই তত্ত্ব বিরোধী দলগুলি মানেনি। তবে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে ধনখড়কে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। প্রায় দেড় মাস পর সোমবারই প্রথম সরকারি বাংলোর বাইরে বার হন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, দিল্লির ধৌলা খান এলাকায় সেনাবাহিনীর হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যান ধনখড়। ফিরে এসেই ছেড়ে দিলেন সরকারি বাংলো।
আরও পড়ুন:
ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই নতুন বাংলোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ধনখড়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, ২১ জুলাইয়ের পর থেকে জিনিসপত্র গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন ধনখড় দম্পতি। অপেক্ষায় ছিলেন নতুন বাংলোর। নিয়ম অনুযায়ী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিও সরকারি বাংলো, সরকারি গাড়ি এবং নিরাপত্তারক্ষী পেয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে সরকারকে চিঠিও দিয়েছিলেন ধনখড়। সূত্রের খবর, সেই চিঠির জবাবে এপিজে আব্দুল কালাম রোডের বাংলোর কথা জানানো হয় তাঁকে। তবে তা পুরোপুরি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত চৌটালার বাড়িতেই থাকতে পারেন ধনখড় দম্পতি।