অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে অনিয়মের হদিস পেল তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেফতার করা হল তিনটি ডেয়ারি সংস্থার প্রধানকে। ওই লাড্ডু তৈরির জন্য যে ঘি ব্যবহার করা হত, তার জোগানের টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল।
তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। অভিযোগ, মন্দিরের প্রধান প্রসাদ লাড্ডুতে মেশানো হয় পশুর চর্বি। যে ঘি তাতে ব্যবহার করা হয়, তাতে পশুর চর্বি মিশিয়ে তাতে ভাজা হয় লাড্ডু। প্রথমে এই সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ দল। পরে মামলাটি ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। আদালত যে তদন্তকারী দল গড়ে দিয়েছে, তাতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং ভারতের ‘খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ’ (এফএসএসএআই)-এর আধিকারিকেরাও রয়েছেন। সেই দল গ্রেফতার করেছে তিনটি রাজ্যের তিনটি পৃথক ডেয়ারি সংস্থার প্রধানকে। ধৃতেরা হলেন উত্তরাখণ্ডের ভোলেবাবা ডেয়ারির বিপিন জৈন এবং পোমিল জৈন, তামিলনাড়ুর বৈষ্ণবী ডেয়ারির অপূর্ব বিনয় কান্ত এবং তেলঙ্গানার এআর ডেয়ারির রাজু রাজাশেখরন।
আরও পড়ুন:
তিরুপতির লাড্ডুর ঘি-তে কী ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে? সিবিআই সূত্রে খবর, মন্দিরে ঘিয়ের জোগান দেওয়ার জন্য বৈষ্ণবী ডেয়ারির প্রতিনিধিরা এআর ডেয়ারির নামে টেন্ডার নিতেন। ভুয়ো নথি দেখিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারচুপি করতেন। এ ছাড়া, বৈষ্ণবী ডেয়ারির লোকজন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে দাবি করতেন, তাঁরা উত্তরাখণ্ডের ভোলেবাবা ডেয়ারির কাছ থেকে ঘি কেনেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, এই পরিমাণ ঘিয়ের জোগান দেওয়ার ক্ষমতাই নেই ভোলেবাবা ডেয়ারির।
বিতর্কের সূত্রপাত গুজরাতের একটি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট থেকে। তাতে দাবি করা হয়, তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘি-তে পাওয়া গিয়েছে মাছ, গোমাংস এবং শূকরের চর্বির নমুনা। তিরুপতি মন্দিরের রান্নাঘরে প্রতি দিন তিন লক্ষ লাড্ডু তৈরি করা হয়। তাতে ব্যবহৃত হয় ১৫০০ কেজি ঘি। বিতর্কের মাঝে সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য দল গড়ে দিয়েছিল। তারাই গ্রেফতার করল তিন ডেয়ারির প্রধানকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।