ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার হাঁসডিহা থানা এলাকায় একই পরিবারের চার দেহ উদ্ধারে রহস্য বাড়ছে। মা, দুই সন্তান এবং বাবার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে। কিন্তু খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানের গলায় দড়ি পেঁচানো ছিল। তাঁদের দেহ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু মহিলার স্বামীর দেহ বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রতিবেশীরা সকালে ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। বাড়িতে ঢুকতেই আরও তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়।
ফরেন্সিক দল এবং ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন বারেন্দ্র মাঝিঁ, তাঁর স্ত্রী আরতী কুমারী, চার বছরের কন্যা রাহি এবং দু’বছরের পুত্র বিরাজ কুমার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরেন্দ্র এবং আরতির বিয়ে হয়েছিল ছ’বছর আগে। হাঁসডিহা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, ‘‘মহিলা এবং দুই সন্তানের গলায় দড়ি জড়ানো ছিল। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা মনে হচ্ছে। কিন্তু খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় মাঠ থেকে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।’’