Advertisement
E-Paper

দিল্লি বিস্ফোরণ: শ্রীনগরে ধৃত টেকনিশিয়ান! পাক হ্যান্ডলারের থেকে অস্ত্র পৌঁছে দেন অনন্তনাগে চিকিৎসক আদিলের কাছে

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ নিয়াজ়কে প্রথমে আটক করে। তার পর স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)-র হাতে তুলে দেয় তারা। তার পর নিয়াজ়কে গ্রেফতার করে এসআইএ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:০২
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। ছবি: পিটিআই।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। ছবি: পিটিআই।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হল এক টেকনিশিয়ানকে। ধৃতের নাম তুফেইল নিয়াজ়। তদন্তকারী সূত্রের খবর, পাক হ্যান্ডলারের কাছে থেকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল পৌঁছে দিয়েছিলেন অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক এবং দিল্লি বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত তথা ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর সদস্য আদিল রাথরের কাছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ নিয়াজ়কে প্রথমে আটক করে। তার পর স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)-র হাতে তুলে দেয় তারা। তার পর নিয়াজ়কে গ্রেফতার করে এসআইএ।

প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে নভেম্বরের গোড়ার দিকে জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গজ়জওয়াত উল হিন্দ-এর ‘টেরর মডিউল’-এর হদিস পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক আদিল রাথরের খোঁজ পায় তারা। তার পরই তল্লাশি চালিয়ে রাথরের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, রাথরের সূত্র ধরে ফরিদাবাদে ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর হদিস মেলে। তার পরই সেখানে তল্লাশি অভিযানে যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেখান থেকে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক মুজা়ম্মিল গনাইকে। তার পর গ্রেফতার করা হয় চিকিৎসক শাহীন সইদকে। প্রসঙ্গত, মুজ়াম্মিল, শাহীন, আদিল এবং উমর নবি— তাঁরা সকলেই ‘টেরর মডিউল’-এর সদস্য বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে উমর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটান। সেই বিস্ফোরণে উমরের মৃত্যু হয়েছে।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে তার পর থেকেই একের পর এক গ্রেফতারি চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকেও বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আগে। এ বার এক টেকনিশিয়ানকে গ্রেফতার করল এসআইএ। তদন্তকারী সূত্রের খবর, পাকিস্তানের হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল টেকনিশিয়ান নিয়াজ়ের। তাঁর হাত দিয়েই অনন্তনাগের চিকিৎসক আদিলের কাছে অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, শুধু অস্ত্রই পাঠানো হয়েছিল, না কি দেশে নাশকতার জন্য বিস্ফোরকও এই টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল। গত ১০ ডিসেম্বর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

Red Fort
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy