—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কেউ তেমন পড়াশোনা করেননি। ইউটিউব দেখে গাড়ি চুরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। আর তা করেই ২০১২ সাল থেকে প্রায় ৫০০টি গাড়ি চুরি করেছে দলটি। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকাতেই মূলত চুরি করত দলটি। অবশেষে সেই দলের চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তাজ মহম্মদ। তার পর সংসারের খরচ জোগাতে অটো চালাতেন। ২০১২ সালে রৌনক আলি ওরফে বাব্বুর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তার পরেই দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় শুরু করেন গাড়ি-চুরি। আড়েবহরে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাঁদের দল। তাজ এবং রৌনকের সঙ্গে দেখা হয় রিঙ্কু এবং হাকিমের। তাঁরাও যোগ দেন দলে। প্রায়ই জেলে যেতেন তাঁরা। সেখানে সাক্ষাৎ হয় গুড্ডু, মাটিন, কাশিফের সঙ্গে। গাজ়িয়াবাদ, মুসৌরি থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে দুবাই-যোগ রয়েছে। দুবাইয়ে গিয়ে তাঁরা দামি গাড়ির নকল চাবি তৈরি করিয়ে আনতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়ি চুরি করত দলটি। যে সব গাড়িতে চুরি আটকানোর জন্য বিশেষ প্রযুক্তি থাকত, সেগুলিও খুলে চুরি করে ফেলতেন তাঁরা। চুরি করা গাড়িগুলি সম্ভলের আমির নামে এক ব্যক্তি এবং গুজরাতের বরোদার এক ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দিতেন অভিযুক্তেরা। ওই দু’জনের কাছে প্রায় ২০০টি গাড়ি পাঠানো হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার অজিত কুমার জানিয়েছেন, আমির এবং তাঁর স্ত্রীও জড়িত এই গাড়ি চুরিতে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত গুড্ডু, মাটিন, কাশিফ আগে গিয়ে গাড়িটি যাচাই করে আসতেন। এর পর গাড়ির লক ভেঙে ফেলতেন তাঁরা। নয়তো কাচ ভেঙে গাড়ির ভিতর ঢুকে নকল চাবি তৈরি করিয়ে নিতেন। অভিযুক্তদের কাছে যে সফটঅয়্যার ছিল, তা দিয়েই চাবি নকল করতেন তাঁরা। ধৃতেরা জানিয়েছেন, ভাল জীবনযাপনের জন্যই এ সব করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy