ছবি- এএফপি।
আগামী এক মাস কোনও টেলিভিশন চ্যানেলের কোনও বিতর্ক অনুষ্ঠানেই দলের কোনও প্রতিনিধি বা মুখপাত্রকে পাঠাবে না কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর দলের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গাঁধী ইস্তফা দিতে চাওয়ায় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বৃহস্পতিবার তাঁর টুইটে এই কথা জানিয়েছেন।
রণদীপ লিখেছেন ‘‘সব টেলিভিশন চ্যানেলকর্তৃপক্ষ ও সম্পাদকদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে তাঁরা যেন তাঁদের কোনও শোয়ে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ না জানান।’’ কেন এই সিদ্ধান্ত? কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বলছেন এর দু’টি কারণ থাকতে পারে। এক দলের নেতাদের সংবাদমাধ্যমের উপর পুরোপুরি নির্ভরতার অভ্যাস থেকে বের করে আনার চেষ্টা। মানুষের কাছে না গিয়ে শুধুই টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্কে হাজির হয়ে সহজে কিস্তিমাত করার যে প্রবণতা রয়েছে রাজনীতিকদের দলের এই অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের পর তা বন্ধ করারও চেষ্টা হতে পারে এই সিদ্ধান্ত। দুই যে মানুষের রায়ে যে ভাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার তাতে এখনই টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্কে হাজির হয়ে কোনও কংগ্রেস নেতা তার বিরোধিতা করা শুরু করলে অন্য বার্তা যাবে ভোটারদের কাছে।
কেন এই সিদ্ধান্ত? কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বলছেন এর দু’টি কারণ থাকতে পারে। এক দলের নেতাদের সংবাদমাধ্যমের উপর পুরোপুরি নির্ভরতার অভ্যাস থেকে বের করে আনার চেষ্টা। মানুষের কাছে না গিয়ে শুধুই টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্কে হাজির হয়ে সহজে কিস্তিমাত করার যে প্রবণতা রয়েছে রাজনীতিকদের দলের এই অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়ের পর তা বন্ধ করারও চেষ্টা হতে পারে এই সিদ্ধান্ত। দুই যে মানুষের রায়ে যে ভাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার তাতে এখনই টেলিভিশন চ্যানেলের বিতর্কে হাজির হয়ে কোনও কংগ্রেস নেতা তার বিরোধিতা করা শুরু করলে অন্য বার্তা যাবে ভোটারদের কাছে।
.@INCIndia has decided to not send spokespersons on television debates for a month.
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) May 30, 2019
All media channels/editors are requested to not place Congress representatives on their shows.
রণদীপ লিখেছেন ‘‘সব টেলিভিশন চ্যানেলকর্তৃপক্ষ ও সম্পাদকদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে তাঁরা যেন তাঁদের কোনও শোয়ে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ না জানান।’’
আরও পড়ুন- মহাত্মা গাঁধী, বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথের দিন শুরু করলেন মোদী
আরও পড়ুন- ইস্তফা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই পোষ্যকে নিয়ে ড্রাইভে গেলেন রাহুল
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কার্যত, মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। এমনকী, যে ৩টি রাজ্য, গত ডিসেম্বরের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের হাতে এসেছিল, সেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়েও লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস, মাত্র ৫ মাসের মধ্যে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী হেরেছেন তাঁর কেন্দ্র অমেঠীতেও, ২০০৪ সালে যেখানে তিনি অনায়াসে জিতেছিলেন। ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে সাকুল্যে ৫২টি আসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy