—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কলেজের প্রার্থনায় যোগ না দেওয়ায় ছাত্রীকে হস্টেলের শৌচালয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। শৌচালয়ে আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। পরে তাঁকে উদ্ধার করেন সহপাঠীরা। অসুস্থ ছাত্রীকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গুজরাতের বলসাড জেলার ধর্মপুর এলাকার ঘটনা। প্রমুখ স্বামী ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে সেলাইয়ের বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ১৮ বছরের ওই তরুণী। প্রতিষ্ঠানের হস্টেলেই থাকতেন। অভিযোগ, তাঁকে ইচ্ছা করে হস্টেলের শৌচালয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। টানা ৩০ মিনিট বদ্ধ শৌচালয়ে আটকে ছিলেন তিনি। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পুলিশের কাছে তরুণী জানিয়েছেন, তিনি সে দিন কলেজের প্রার্থনায় যোগ দিতে যেতে দেরি করেছিলেন। তারই শাস্তি হিসাবে তাঁকে শৌচালয়ে বন্দি করে রাখা হয়। বাইরে থেকে শৌচালয়ের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, বার বার তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কেউ দরজা খুলে দেননি। আধ ঘণ্টা পরে প্রার্থনা শেষ হলে সহপাঠীরা দরজা খুলে দেন।
ছাত্রী আরও জানান, ছোট্ট শৌচালয়ে ভাল করে দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিলেন না তিনি। মেঝেতেই বসে পড়েন বাধ্য হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পরেও তাঁর শ্বাসকষ্ট থামেনি। সেই কারণেই তাঁর পরিবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তরুণীর বাবার অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। সেটা জানা সত্ত্বেও ওঁরা ওঁকে শৌচালয়ে বন্ধ করে দেন। শৌচালয়ের আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’
পুলিশের পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফেও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। হস্টেলের কর্মচারীদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। হস্টেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, নিয়মমাফিক শৌচালয়ের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ছাত্রী ভিতরে আটকে আছেন, তা কর্মীরা বুঝতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy