অনেক চেষ্টা করেও লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেললাইনে আজ পরীক্ষামূলক ভাবে মালগাড়ি চালাতে পারল না উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
মাইগ্রেনডিসায় গত দু’দিন ধরে রেলকর্মীরা লাইন পাতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল। মাইগ্রেনডিসার ‘৯২ কিলোমিটার’ এলাকার ১৪০ মিটার লাইন পাতার কাজ শুরু করার চেষ্টা করলেও ওই অংশের মাটি ফের ফুলেফেঁপে ওঠায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পুরনো জায়গা থেকে দু’মিটার সরিয়ে সাময়িক ভাবে ট্রেন চালানোর জন্য লাইন পাতার পরিকল্পনা করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। পাহাড় কেটে নতুন জায়গা দিয়ে রেললাইন বসাতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানান নির্মাণ শাখার চিফ ইঞ্জিনিয়ার আর পি জিঞ্জার। তিনি বলেন, ‘‘নতুন জায়গা দিয়ে লাইন বসানো হলেও, পুরনো জায়গা ঠিক হয়ে গেলে আবার সেখানেই লাইন পাতা হবে।’’
উত্তর-পূর্ব রেলের নির্মাণ শাখার ইঞ্জিনিয়ার সুজিত কুমার পাল বলেন, ‘‘গত এক মাস ধরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বার ট্রেন চলাচল দ্রুত শুরু করতে আগের জায়গা থেকে কিছুটা সরিয়ে লাইন পাতা হচ্ছে। তার মানে এই নয় যে পুরনো জায়গা পরিত্যক্ত হল।’’ বর্তমানে ট্রেন-পরিষেবা শুরু করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সুজিতবাবু জানান।
উল্লেখ্য, এক টানা বৃষ্টিতে ওই এলাকায় পাহাড়ের মাটি ফুলে উঠেছে। তার জেরে বেঁকে গিয়েছে রেল লাইন। বালি, মাটি দিয়ে জায়গাটি ভরটা করা হলেও, তাতে লাভ হচ্ছে না। কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটছে, তা বুঝছেন না বিশেষজ্ঞরাও।
গত এক মাসে মাইগ্রেনডিসায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করেও রেল বিভাগ লামডিং-শিলচর রেললাইন মেরামত করে তুলতে পারেনি। এবার নতুন পথে রেললাইন বসাতে আরও প্রায় ১৮ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। তবে এখথনও কিছু ‘যদি’, ‘কিন্তু’ রয়েছে। সব কিছু নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। বৃষ্টি হলে আবার সমস্যা বাড়বে। এ দিকে, ডিমাহাসাও জেলার বিভিন্ন স্টেশনে পণ্য সামগ্রী নিয়ে যে সব মালগাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই ত্রিপুরার মাল নিয়ে যাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ চাইছেন, দ্রুত লাইনের কাজ শেষ করে ওই মালগাড়িগুলিকে গন্তব্যে পাঠাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy