মিড-ডে মিল ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পুষ্টিকর খাবার বিলির প্রকল্পে মুখ স্ক্যান করে পরিচয় নিশ্চিত করার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে পিএম-পোষণ ও প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনার মতো প্রকল্পে ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম’ বাধ্যতামূলক করেছে। যার পরে বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণির মানুষকে সমাজ কল্যাণ প্রকল্প থেকে বাদ দিতে চাইছে।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক ৩০ মে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, মিড-ডে মিল বা পিএম পোষণ (প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ) প্রকল্পে শিশুদের ক্ষেত্রে ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন টেকনোলজি’ কঠোর ভাবে বাধ্যতামূলক করা হবে। বাড়িতে রেশন নিয়ে যাওয়া, শিশুদের হাজিরা ও তাদের রেজিস্ট্রেশন-এর ক্ষেত্রে ‘পোষণ ট্র্যাকার অ্যাপ্লিকেশন’-এর মাধ্যমে মুখের স্ক্যান করে পরিচিতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা কাজ করবে। রাজ্য প্রশাসনগুলিকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা প্রকল্পের আওতায় থাকা সমস্ত শিশু, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, স্তন্যদায়ী মায়েদের নামধামের সঙ্গে মুখের স্ক্যানিং সংযুক্ত করার কাজ সেরে ফেলেন।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের অভিযোগ, এর আগে আধারকে অস্ত্র করে কোটি কোটি একশো দিনের কাজের প্রকল্পের কর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দেশের আদিবাসীরা প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্য সুরক্ষা আইনে রেশনের অধিকারের জন্য ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন টেকনোলজি’-র বাধা পেরোতে হবে। প্রথমে আধার-ভিত্তিক টাকা মেটানোর ব্যবস্থা, জাতীয় মোবাইল নজরদারি ব্যবস্থার মতো প্রযুক্তি ব্যর্থ হয়েছে। এখন মুখের স্ক্যান করার প্রযুক্তি আমদানি করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জয়রামের যুক্তি, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনায় আধার ভিত্তিক টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করায় অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদায়ী মহিলারা প্রকল্পের সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০১৯-২০-তে ৯৬ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্প থেকে সুবিধে পেতেন। ২০২৩-২৪-এ তা কমে ২৭ লক্ষে নেমে এসেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)