Advertisement
E-Paper

‘মুরলীধরের বদলি নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল’

মাঝ রাতে এমন নির্দেশ জারি হলে তার অন্য ব্যাখ্যা হতেই পারে।’’ 

সং‌বাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ০৫:০৯
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। —ফাইল চিত্র

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধর। —ফাইল চিত্র

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলির নির্দেশ ‘মাঝ রাতে’ জারি করা নিয়ে সরকারের ‘আরও সতর্ক’ হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কে জি বালকৃষ্ণন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে সাম্প্রতিক হিংসার মামলার শুনানি হয় বিচারপতি মুরলীধরের বেঞ্চে। বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তৃতার ভিডিয়ো থাকা সত্ত্বেও কেন এফআইআর হয়নি, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই বিচারপতি।

সে দিন রাতেই তাঁর পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশ জারি করে আইন মন্ত্রক। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে নানা শিবির।

তবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির মতে, ওই শুনানির দিনেই বদলির নির্দেশ জারি হওয়াটা কাকতালীয়। কারণ, তার এক সপ্তাহ আগেই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘বদলির কোন তারিখ কলেজিয়াম বিবেচনা করেছিল তা আমার জানা নেই।’’

তবে তাঁর মতে, ‘‘দিল্লি মামলায় বিচারপতি মুরলীধরের মন্তব্যের সঙ্গে বদলির কোনও যোগ নেই। ওই মামলা তিনি নিজে থেকে শুনতেও শুরু করেননি। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন

পটেল ছুটিতে থাকায় তৃতীয় সিনিয়র বিচারপতি হিসেবে ওই বেঞ্চকে নেতৃত্ব দেন তিনি।’’ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘দেশে এখন যা পরিস্থিতি তাতে সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কারণ এই পরিস্থিতিতে মাঝ রাতে এমন নির্দেশ জারি হলে তার অন্য ব্যাখ্যা হতেই পারে।’’

তবে বিচারপতি মুরলীধরকে পরের দিনই পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে যোগ দিতে বলা হয়েছিল বলে মনে করেন না প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের বদলির ক্ষেত্রে বিচারপতিকে নতুন কাজের জন্য তৈরি হতে অন্তত সাত দিন সময় দেওয়া হবে।’’

Delhi Violence S Muralidhar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy