Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাজেট বিবৃতিতে ‘বাম’ প্রধানমন্ত্রী

বাজেট ভাষণ শেষ করার পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তখনও সংসদ ভবনে নিজের ঘরে থিতু হয়ে বসতে পারেননি। তার মধ্যেই টানা আধঘণ্টা বাজেটের ঢাক পিটিয়ে চললেন প্রধানমন্ত্রী।

তখন বাজেট পড়ছেন জেটলি। শুনছেন মোদী। ছবি: পিটিআই।

তখন বাজেট পড়ছেন জেটলি। শুনছেন মোদী। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪২
Share: Save:

ডান হাতে পেন, বাঁ হাতে নোটবুক। টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বাজেট ভাষণ শেষ করার পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তখনও সংসদ ভবনে নিজের ঘরে থিতু হয়ে বসতে পারেননি। তার মধ্যেই টানা আধঘণ্টা বাজেটের ঢাক পিটিয়ে চললেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বেনজির ভাবে এক সমান্তরাল বাজেট-বিবৃতি দিলেন তিনি। অবশ্য সেখানেই থামলেন না মোদী। সন্ধ্যায় ফের ডাকলেন দলের সাংসদদের। এই ‘ঐতিহাসিক নথি’ কীভাবে ভোটারদের সহজ ভাষায় বোঝাতে হবে, এই বাজেট-উৎসব কী ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তা বাতলে দিলেন তাঁদের। আর এ-ও বললেন, ‘‘সামাজিক ন্যায় এতদিন সমাজবাদী এবং বামেদের সম্পত্তি ছিল। আজ আমরাই তা করে দেখিয়েছি।’’

বিশেষ শিল্পপতি-বান্ধব বলে মোদীর সরকারের সমালোচনা হয়, মুখে অনেক কথা বললেও সামাজিক ন্যায় সম্পর্কে তাঁর সরকার আগ্রহী নয়, এমন প্রচারও হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারের ‘সামাজিক ন্যায় কর্মসূচি’ তুলে ধরার নির্দেশ দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মোদীর নির্দেশ, বাজেটের প্রকল্প কতটা নীচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছল, তা দেখার দায়িত্বও সাংসদদের।

রাজস্থানে বিজেপি’র হার নিয়ে এদিন নীরব ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু মাতামাতি ছিল বাজেট নিয়ে। যদিও বাজেটকে কটাক্ষ করে রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘‘চার বছর কেটে গিয়েছে। এখনও কৃষকরা ন্যায্য দামের অপেক্ষায়। বরাদ্দ ছাড়াই চমকদার প্রকল্প। যুবকদের চাকরি নেই। সৌভাগ্য, আর মাত্র এক বছরই বাকি।’’ আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বললেন, ‘‘এ এক ফাঁপা বাজেট। সরকার বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। সেক্ষেত্রে কৃষির বিকাশের হার ১২ শতাংশ হতে হবে!’’

যদিও মোদীর মঞ্চে স্বাভাবিকভাবেই বলা হল, নোটবন্দিই হোক বা জিএসটি, প্রধানমন্ত্রীর মতো এত সাহস কে দেখাতে পারেন? আর বড় শিল্পপতিদের মূলধনী আয়ে কর চাপানোর সাহসও ক’জন প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন? সেই টাকাতেই যে উন্নয়ন হবে দেশের অধিকাংশ গরিবের! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘দাভোসে বাজিমাত করেছেন নরেন্দ্র মোদীই।’’ অমিত শাহ শোনালেন, ‘নমো অ্যাপে’ যোগাযোগ রাখুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। সেখানেই এক-তৃতীয়াংশ প্রচার হয়ে যাবে।

তবে ওই মঞ্চে ‘নমো-নমো’ ধ্বনি তুলে ভোটের ঘণ্টা বাজানোর ফাঁকে অমিত কিছুটা ধমকও দিলেন নেতাদের। বললেন, ‘নমো’ অ্যাপে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে কেন সাড়া দিচ্ছেন না সাংসদরা? ‘

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE