Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mobile Phone Lost

বাঁধের ২১ লক্ষ লিটার জল সেঁচে ফোন উদ্ধার সরকারি আধিকারিকের! পড়ে গিয়েছিল পার্টি করার সময়!

খাদ্য দফতরের ওই আধিকারিকের দাবি, নিজস্বী তোলার সময় ফোনটি পড়ে গিয়েছিল। যে হেতু ফোনে দফতরের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি ছিল, তাই সেটি খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছিলেন।

Dam\'s water drained out

এই সেই খেরকাট্টা বাঁধ। জল তোলার জন্য পাম্প নিয়ে আসা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১৫:৩০
Share: Save:

বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে হাত ফস্কে বাঁধের জলে পড়ে গিয়েছিল এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন। সেই ফোন খুঁজতে বাঁধের জলই তুলে ফেলার অভিযোগ উঠল এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ৩ দিন ধরে পাম্প দিয়ে সেই জল সেঁচে বার করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ে।

রাজেশ বিশ্বাস নামে খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক কাঁকের জেলার কোইলিবেড়া ব্লকে খেরকাট্টা বাঁধে রবিবার ঘুরতে গিয়েছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড় করার সময় ১৫ ফুট গভীর জলে পড়ে যায় সেটি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় জলের মধ্যে থেকে ফোন খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন ওই আধিকারিক। কিন্তু খুঁজে না পাওয়ায় বাঁধ থেকে জল তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার পরই ৩০ হর্সপাওয়ারের দু’টি পাম্প নিয়ে এসে টানা ৩ দিন ধরে সেই জল বার করে দেন। ২১ লক্ষ লিটার জল তুলে ফেলার অভিযোগ ওঠে আধিকারিক রাজেশের বিরুদ্ধে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, যে পরিমাণ জল তুলে ফেলা হয়েছে, সেই জল গিয়ে ১৫০০ একর জমি চাষ করা যেত!

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় পাম্প লাগিয়ে বাঁধ থেকে জল তোলা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সেচ দফতরের আধিকারিকরা অভিযোগ পেয়ে জল সেঁচা বন্ধ করান। সেচ দফতর সূত্রে খবর, তিন দিনে ৯ ফুট জল বার করে নেওয়া হয় বাঁধ থেকে। তখনও বাঁধে ৬ ফুট গভীর জল ছিল। গরমের সময় ১০ ফুটের বেশি জল থাকে এই বাঁধে। প্রাণীরা প্রায়ই এই জল খেতে আসে।

কেন এই কাজ করলেন? কে-ই তাঁকে বাঁধের জল ফেলার অনুমতি দিয়েছিল?

এ প্রসঙ্গে রাজেশের দাবি, নিজস্বী তোলার সময় ফোনটি পড়ে গিয়েছিল। যে হেতু ফোনে খাদ্য দফতরের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি ছিল, তাই সেটি খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যাঁরা ফোন খোঁজার জন্য জলে নেমেছিলেন, তাঁদের দাবি ছিল জলের নীচে পাথর থাকায় ফোনটি চিহ্নিত করা যায়নি। রাজেশের দাবি, এর পরই তিনি মহকুমা শাসককে ফোন করেন। বাঁধের জল তুলে ফেলার জন্য মহকুমা শাসকের কাছে অনুরোধ করেন। তখন তিনি নাকি তাঁকে অনুমতি দেন, ৩-৪ ফুট জল তুলে নিলে কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ ওই জল কোনও কাজে লাগে না। এর পরই পাম্প দিয়ে বাঁধের জল তোলা শুরু করেন। পাম্পের জোল তোলার অভিযোগ পৌঁছয় সেচ দফতরের কাছে। তখন সেচ দফতর থেকে জল তুলতে নিষেধ করা হয়। যদিও ফোনটি উদ্ধার হয় পরে, সেটি আর কোনও কাজ করছিল না।

জলসম্পদ দফতরের ডেপুটি আধিকারিক রামলাল ধীবর বলেন, “মৌখিক ভাবে ওই আধিকারিককে বাঁধ থেকে জল তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে পাঁচ ফুট জল তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার থেকেও বেশি জল তোলা হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dam Chhattisgarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE