স্কুলের ভিতরে মদ্যপান শিক্ষকের। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুল চলাকালীন টিচার্স রুমে বসেই এক শিক্ষককে মদ্যপান করতে দেখা গেল। ওই ঘরেই আরও শিক্ষক ছিলেন। তাঁরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত। আর শিক্ষক সন্তোষ কুমার ব্যস্ত ছিলেন মদ্যপানে। একটি টেবিলে সাজিয়ে-গুছিয়ে আসরে বসেছিলেন তিনি।
স্কুলের ভিতরে এমন দৃশ্য দেখে এক যুবক প্রতিবাদ করেছিলেন। সঙ্গে ভিডিয়োও করেন। তাঁর ভিডিয়ো করতেই যুবককে হুমকি দিয়ে বলেন, “ভিডিয়ো করুন। যেখানে নালিশ করার করুন। আমি কাউকে ভয় পাই না!” এই যুবক প্রতিবাদ করে পাল্টা বলেন, “আপনি এক জন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। এ ভাবে স্কুলের মধ্যে মদ্যপান কেন করছেন?”
যুবকের এই কথায় শিক্ষক একটু হেসে জানান, এটা তাঁর প্রতি দিনের কাজ। এই ঘরে বসেই তিনি মদ্যপান করেন। সন্তোষ কুমার মদ্যপান করছেন অন্য শিক্ষকদের সামনে, অথচ কেউই তার প্রতিবাদ করছিলেন না। যুবক তখন এক মহিলা শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করেন কেন সন্তোষ কুমারের এই কাজের কোনও প্রতিবাদ করছেন না? কিন্তু এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি ওই শিক্ষিকা।
অনবরত তাঁর ভিডিয়ো বানানো হচ্ছে দেখে সন্তোষ কুমার আবার বলেন, “বিইও, ডিইও, জেলাশাসক— যে কারও কাছে গিয়ে আমার নামে অভিযোগ জানান, কেউ কিছু করতে পারবেন না।” ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের একটি সরকারি স্কুলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। বিলাসপুরের মস্তুরি ব্লকের অন্তর্গত মচহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। মদ খাওয়া শেষ করেই টিচার্স রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান সন্তোষ। যাওয়ার সময় আবার বলেন, “আমার ইচ্ছা, আমি খাই। আপনার কী? আমি রোজ খাই।” টলতে টলতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়াদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। প্রার্থনার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, “আর স্কুল হবে না। বাড়ি যাও তোমরা।” তার পর আবার ক্লাসের দিকে চলে যান তিনি। সন্তোষ কুমারের এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy