মুলায়ম সিংহ যাদব।
‘মুলায়ম সিংহ যাদবের’ মৃত্যুর খবরে প্রমাণিত হল মুলায়ম সিংহ যাদব আপাতত সুস্থই রয়েছেন!
গত দু’দিন ধরে মুলায়ম সিংহ যাদবের মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের জনপদ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চলেছে ভ্রান্তিবিলাস। নাজেহাল সমাজবাদী পার্টির সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দ বলছেন, “আরে মশাই, আমার তো পাগল হওয়ার দশা! বলে বলে গলা ব্যথা হয়ে গেল যে, এই মুলায়ম সেই মুলায়ম নন! এঁর বয়স ৯২, নিবাস মঈনপুর। তা-ও তোলপাড় থামে না।’’
এই ‘তোলপাড়’ থামাতে শেষ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংহ যাদবের পুত্রবধূ অপর্না বিস্ত যাদবকে আজ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতে হল, ‘পরম শক্তিমানকে ধন্যবাদ। আমাদের নেতাজি সুস্থ রয়েছেন’।
আরও পড়ুন: বিজেপির থেকে কম পেলেও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই
যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি সমাজবাদী পার্টির প্রবীণ সৈনিক এবং বিধান পরিষদের তিন বারের সদস্য। কিন্তু তাঁর নামও যে মুলায়ম সিংহ যাদব! আর সেখান থেকেই শুরু বিভ্রান্তির। খতিয়ে না দেখে কিছু স্থানীয় মাধ্যম এবং দলীয় কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে যা আরও বেড়ে যায়। শোকবার্তার ঢেউ ওঠে। বেশ কয়েক বছর ধরেই উত্তরপ্রদেশ রাজনীতির ‘নেতাজি’ অর্থাৎ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ। শরীরের কারণে তিনি প্রতিদিনের রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন পুত্র অখিলেশের কাঁধে দায়িত্ব সঁপে দিয়ে। এ দিকে পুত্র অখিলেশ যাদব সম্প্রতি বিদেশে থাকায়, জল্পনা একধাপ বাড়ে।
তা হলে কি নেতাজি-কে নিয়ে আপৎকালীন চিকিৎসা করাতে অখিলেশ বিদেশে?
সব মিলিয়ে বেগতিক বুঝে এসপি নেতৃত্ব স্থির করেন, সামাজিক মাধ্যমে পারিবারিক ভাবেই একটি পোস্ট দিয়ে ঘটনা স্পষ্ট করা হবে। যাতে রাজ্যের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে কোনও ধোঁয়াশা না থাকে। ঘটনা হল, মৃত মুলায়ম সিংহ যাদব ছিলেন নেতাজি মুলায়ম সিংহ যাদবের খুবই বিশ্বস্ত এবং কাছের নেতা। আজ একটি শোকবার্তায় অখিলেশ লিখেছেন, ‘এক জন রাজনৈতিক নেতার জীবন কি সরল সাধারণ হতে পারে, ভোটারদের জন্য নিবেদিত হতে পারে, তার উদাহরণ ছিলেন তিনি।’
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন, বিহার ভোটে বিজেপির চিন্তা দলিত ক্ষোভ
১৯৪৯ সালে প্রথম সরপঞ্চ হয়েছিলেন ‘অন্য’ এই মুলায়ম। পর পর পাঁচবার এই পদে নির্বাচিত হন ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত। পরে তিন বার উত্তরপ্রদেশের আরোরিয়া থেকে বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংহ যাদবের সঙ্গে এই সমাজবাদী নেতা দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজও করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy