জিএসটি-র হার কমলেই বাজারে কেনাকাটার ঝড় উঠবে বলে আশা করছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাদের দাবি, জিএসটি বোঝা কমার প্রথম দিনেই গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি হয়েছে।
সোমবার থেকে জিএসটি-র নতুন হার কার্যকর হয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে জানানো হয়েছে, গাড়ি শিল্পে অভূতপূর্ব বিক্রি ও চাহিদার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে আগ্রহ তুঙ্গে। মারুতি সুজুকি জানিয়েছে, প্রথমদিনেই ৮০ হাজার খোঁজখবর ও ৩০ হাজার গাড়ি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। গত ৩৫ বছরে একদিনে এত ব্যবসা হয়নি। সাধারণত উৎসবের মরসুমে যে পরিমাণ গাড়ি বিক্রি হয়, সেই তুলনায় গাড়ির বুকিং ৫০% বেড়েছে। হুনডাই, টাটা মোটর্সও পিছিয়ে নেই।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজ়নের মতো অনলাইনে কেনাবেচা তুঙ্গে উঠেছে। ফ্যাশন ব্র্যান্ড স্নিচ-এর অনলাইন অর্ডার ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ইলেকট্রনিক্স পণ্য, টিভি, এসি-র ক্ষেত্রে জিএসটি বোঝা কমার ফলে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। কারণ এসি-র দাম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা কমেছে। আধুনিক টিভি-র দাম ৮৫ হাজার টাকার মতো কমেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, জিএসটি-র হার কমা সত্ত্বেও তার সুবিধা না মিললে জাতীয় গ্রাহক হেল্পলাইন ১৯১৫-এ ফোন করে বা ৮৮০০০১৯১৫-এ ওয়টসঅ্যাপ করে অভিযোগ জানানো যাবে।
আজ বিজেপিও এ নিয়ে প্রচারে নেমেছে। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, জিএসটি ছাঁটাইয়ের প্রথমদিনেই গাড়ি থেকে ইলেকট্রনিক্স— সব ক্ষেত্রে রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। ছোট ও মাঝারি আকারের গাড়ি ছাড়াও বেড়েছে বাইক-স্কুটারের বিক্রি। একই সঙ্গে মুধমেহ, কর্কট রোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো ওষুধেরও দাম কমেছে।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বক্তব্য, জিএসটি-র হার কমানো আসলে মোদী সরকারের দেরিতে বোধোদয়। কারণ জিএসটি-তে এত রকম করের হার ও চড়া হারের ফলে অর্থনীতি হোঁচট খেয়ে চলছিল। মোদী সরকার অবশ্য নোট বাতিল ও ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মতো কোনও ভুলই স্বীকার করবে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)