Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গুজরাতি খাবার খেয়ে ভুঁড়ি বেড়েছে রাহুলের!

এ বারের গুজরাত নির্বাচন বিভিন্ন কারণে ব্যতিক্রমী। তার মধ্যে খাবারদাবারও একটা বড় ভূমিকা নিচ্ছে! ফাফড়া থেকে ধোকলা, থেপলা থেকে বিশুদ্ধ গুজরাতি থালি— গুজরাতের ‘খানে পে চর্চা’ এ বারে অক্সিজেন জোগাচ্ছে রাহুল গাঁধী তথা কংগ্রেস নেতৃত্বকে! যার জেরে স্বঘোষিত ভাবে ভূঁড়ি বেড়ে গিয়েছে রাহুলের!

ভোজ: গুজরাতি খানায় ব্যস্ত রাহুল। ফাইল চিত্র।

ভোজ: গুজরাতি খানায় ব্যস্ত রাহুল। ফাইল চিত্র।

অগ্নি রায় ও দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
অমদাবাদ ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:৪৯
Share: Save:

রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে রসনার রমরমা!

এ বারের গুজরাত নির্বাচন বিভিন্ন কারণে ব্যতিক্রমী। তার মধ্যে খাবারদাবারও একটা বড় ভূমিকা নিচ্ছে! ফাফড়া থেকে ধোকলা, থেপলা থেকে বিশুদ্ধ গুজরাতি থালি— গুজরাতের ‘খানে পে চর্চা’ এ বারে অক্সিজেন জোগাচ্ছে রাহুল গাঁধী তথা কংগ্রেস নেতৃত্বকে! যার জেরে স্বঘোষিত ভাবে ভূঁড়ি বেড়ে গিয়েছে রাহুলের!

ঘটনাটা প্রথম টের পেয়েছিলেন বোন প্রিয়ঙ্কা। সভাপতি পদে মনোনয়ন পেশের রাতে প্রিয়ঙ্কা গিয়েছিলেন রাহুলের বাড়ি। পরের দিন কচ্ছের জনসভায় সে গল্প শোনাতে গিয়ে রাহুল নিজেই বলেন, রান্নাঘরে ঢুকে বোন হতবাক! ‘এ সব কী?’ রান্নাঘর তখন ভর্তি ফাফড়া, আচার, বাদাম— সব গুজরাতি খাবার। লাজুক গলায় সেদিন বোনকে যা বলেছিলেন, পরের দিন জনসভায় সেটা নিজেই ফাঁস করেছেন রাহুল। গুজরাতি জনতার উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘গত দু’মাসে আপনারা আমার অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছেন! ওজনও বেড়েছে। মেরা পেট ভি বড় রহা হ্যায়!’’

গুজরাতে দিনভর প্রচার সেরে প্রায় প্রতিদিনই রাহুল রাস্তার পাশে কোনও না কোনও ধাবায় গিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছেন। প্রচারে তাঁর ছায়াসঙ্গীরা জানাচ্ছেন, গত দুমাসে শুধু ধাবাতেই ১৬ বার দুপুরের খাবার খেয়েছেন তিনি। সারাদিন সাদা কুর্তায় প্রচার করলেও রাতে কালো টি-শার্ট, জিনস পরে দিব্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন পথে-ঘাটে রসনার টানে। নিরাপত্তার পরোয়া না করেই।

এমনই এক ধাবায় রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন খাবারটি তাঁর সব থেকে পছন্দ? জবাব দিয়েছিলেন, ‘খাকরা।’ সঙ্গীরা বলছেন, আথেলা মিরচা-র (সবুজ এবং লাল লঙ্কা জারিয়ে কাসুন্দিতে মেশানো) টাকনা ছাড়া এখন নাকি কোনও খাবারই রুচছে না রাজীব-পুত্রের। তা সে দিল্লি হোক কি গুজরাত। আর শেষ পাতে গুজরাতি জাম্বো জলেবি।

গুজরাতি খাবারের প্রতি রাহুলের এই প্রীতি দেখে এখন কংগ্রেসের অন্য নেতারাও গুজরাতের মাটিতে শুরু করে দিয়েছেন ‘খানে পে চর্চা’। রসিকেরা বলছেন, এ যেন ‘চায়ে পে চর্চা’র পাল্টা চাল! রাহুলে উদ্ধুদ্ধ কংগ্রেস নেতারা এখন পথে পথে ঘুরে চাখছেন খাকরা, থেপলা। রথ দেখা এবং কলা বেচা দু’টোই হচ্ছে। অর্থাৎ খাওয়া এবং জনসংযোগ। ফুটপাথের স্টলের বাতেতা ভুঙ্গলা (শুকনো লঙ্কা দিয়ে ছোট ছোট আলুর দম, বড় সাইজের ফ্রায়মের উপর সাজানো) কংগ্রেসিদের মধ্যে সুপারহিট। জিতিন প্রসাদ তো নিয়মিত ভাবে এটাই খাচ্ছেন। ভিড় জমলে, গল্পচ্ছলে মোদীর ‘ব্যর্থতা’র প্রচারও সারছেন।

তবে মোক্ষম ফোড়নটি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘গুজরাতের মানুষ যেমন মিষ্টি, তেমনই মিষ্টি তাঁদের সংস্কৃতি, আর খাবার। কত রকম মেঠাই এখানে। এই গুজরাতে জন্ম নিয়েও প্রধানমন্ত্রী কেন এত কটূ কথা বলেন?’’

গুজরাত নির্বাচন নিয়ে সব খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অন্য বিষয়গুলি:

Gujarat Assembly Election 2017 Rahul Gandhi Congress Weight Hospitality রাহুল গাঁধী Food Gujarati Foods
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy