Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শেষ লগ্নে ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির

দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সেই অনুষ্ঠানে ফের জেটলি দাবি করলেন, কংগ্রেস বিভ্রান্ত করছে রাজ্যবাসীকে। বিপথে চালাতে চাইছে তাঁদের।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩১
Share: Save:

গুজরাতে প্রথম দফার ভোট আগামিকাল। আর আজ বিজেপির ইস্তাহার ‘সংকল্প-পত্র’ প্রকাশ করলেন অরুণ জেটলি। বিরোধী শিবিরের একাধিক খোঁচা খাওয়ার পরে।

দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সেই অনুষ্ঠানে ফের জেটলি দাবি করলেন, কংগ্রেস বিভ্রান্ত করছে রাজ্যবাসীকে। বিপথে চালাতে চাইছে তাঁদের। পাতিদারদের সংরক্ষণ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস দিয়েছে, সাংবিধানিক ভাবে তা অসম্ভব। আর এই অসম্ভব প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে কংগ্রেস সামাজিক মেরুকরণের খেলা শুরু করেছে। এতে গুজরাতের ক্ষতি হবে। গত আশির দশকেও কংগ্রেস এই ভাবেই ক্ষতি করেছিল রাজ্যের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, গুজরাতের ভোটে কংগ্রেস যে সব আর্থিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলিরও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয় এমন কিছু বলা যাবে না। এই যুক্তি সামনে রেখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এ দিন নিজ দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রতির খুঁটিনাটিতে না গিয়ে শুধু মনে করিয়ে দেন, বিজেপি শাসনে গত পাঁচ বছর গুজরাতে আর্থিক বৃদ্ধির গড় হার ছিল দশ শতাংশের উপরে। দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। গুজরাতে এমন একটা সময়ে এই আর্থিক বৃদ্ধি ঘটেছে, যখন বিশ্বের ও দেশের অর্থনীতি মোটেই চাঙ্গা ছিল না। বৃদ্ধির হারে দেশে দু’নম্বরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। সেটিও বিজেপি-শাসিত রাজ্য। চিনে একটা সময়ে বৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে পৌঁছলেও এখন তা ৬-এর কাছাকাছি। এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জেটলি বলেন, ‘‘গুজরাত মডেলের সমালোচকদের এটা বুঝতে হবে যে, জিডিপি বৃদ্ধির (উঁচু) হার ও বিজেপির শাসনের কারণেই এই রাজ্যে প্রতিটি সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।’’

বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশে এত দেরি নিয়ে একাধিক বার খোঁচা দিয়েছেন বিরোধীরা। হার্দিক পটেল বলেছেন, ‘‘ওরা (আমার) সিডি নিয়েই এত ব্যস্ত যে দলের ইস্তাহার প্রকাশেরও সময় পাচ্ছে না।’’ জেটলি আজ সংকল্প-পত্র প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগেও কংগ্রেসের হবু সভাপতি রাহুল গাঁধী বিঁধেছেন বিজেপিকে। তাঁর মতে, ভোটমুখী গুজরাতের জন্য কোনও ইস্তাহার প্রকাশ না করে রাজ্যবাসীকে ‘অকল্পনীয় অসম্মান’ করেছে বিজেপি।

কংগ্রেসও অবশ্য ভোটের খুব বেশি দিন আগে ইস্তাহার প্রকাশ করেনি। সোমবার প্রকাশিত হয়েছে তাদের ইস্তাহার। তাতে বলা হয়েছে, তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও আদিবাসীদের জন্য বর্তমানে ৪৯ শতাংশ সংরক্ষণ চালু রয়েছে রাজ্যে। তাতে হাত না দিয়েই পাতিদার ও ‘জেনারেল ক্যাটেগরি’-র যুব সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। জেটলির দাবি, সাংবিধানিক ভাবে এটা সম্ভবই নয়। ক্ষমতায় এলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানো, ও দশ দিনের মধ্যে কৃষিঋণ মকুবের যে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস দিয়েছে, তারও বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে এ দিন দাবি করেন জেটলি।

গুজরাতে কাল ভোট হবে ৮৯টি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় বাকি ৯৩ আসনে ভোট ১৪ ডিসেম্বর।

গুজরাত নির্বাচন নিয়ে সব খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE