তরুণীর কারসাজি ধরা পড়ে গেল পরীক্ষার হলে। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের জন্য পরীক্ষায় বসতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সাফল্য এল না। তরুণীর কারসাজি ধরা পড়ে গেল। এখন তিনি কড়া শাস্তির মুখে দাঁড়িয়ে। যে শাস্তির উপর নির্ভর করছে তাঁর ভবিষ্যৎও।
ঘটনাটি গুজরাতের। বীর নর্মদ দক্ষিণ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষায় সম্প্রতি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক তরুণী। তাঁর প্রেমিক ঘুরতে গিয়েছিলেন। পরীক্ষার জন্য তাঁর কোনও প্রস্তুতিও ছিল না। পরীক্ষার দিন তিনি ছিলেন উত্তরাখণ্ডে। অভিযোগ, তাঁর হয়ে পরীক্ষায় বসতে গিয়েছিলেন তরুণী। নামে কিছু বদল করে, পরিচয়পত্রে ছবি বদলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন তিনি। প্রেমিককে পাশ করিয়ে দেওয়াই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী নিজে সরকারি চাকরি করেন। তাঁর কীর্তির শাস্তি হিসাবে সেই চাকরি তাঁকে খোয়াতে হতে পারে। এমনকি তাঁর নিজের যাবতীয় ডিগ্রিও বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ আরও জানায়, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হলগুলিতে পরীক্ষক প্রায় প্রতি দিন পরিবর্তিত হন। তিনি ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত ভাবে চেনেনও না। কেবল পরীক্ষার নথিপত্র যাচাই করে থাকেন পরীক্ষক। তাই নথিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে এনেছিলেন তরুণী। কিন্তু পরীক্ষা দিতে আসা আর এক ছাত্র পরীক্ষককে সাবধান করেন। তাতেই তরুণী ধরা পড়ে গিয়েছেন।
তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত তরুণীর সঙ্গে ছাত্রের পরিচয় দীর্ঘ দিনের। তাঁরা স্কুল জীবন থেকে একে অপরের বন্ধু। প্রেমিকের জন্য কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন তরুণী, জানতেও পারেননি তাঁর বাবা-মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy