বুধবার মাঝরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক সিদ্ধান্তে বদলি হলেন ৪৮ জন আমলা। ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে কাজ করা আমলাদের যেমন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসা হয়েছে গুজরাত ক্যাডার ও বিজেপি-ঘনিষ্ঠ আমলাদের।
বিজেপি সূত্রে দাবি, গুজরাত ক্যাডারের আমলাদের দিল্লিতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মোদী। কারণ উভয় পক্ষই একে অপরের কাজের ধাঁচ সম্বন্ধে অবহিত। তাই নিজের ‘কোর টিম’-কে দিল্লি নিয়ে এসে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অনুষ্ঠানেও সেই কাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মোদীর যুক্তি, একই আমলাকে দিয়ে একই কাজ করিয়ে তিনি সাফল্য পেয়েছেন। এতে কাজের গতি অনেক বাড়ে।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই রদবদল প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তা ধীরে সুস্থে করার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদী। সরকারের এক মাসের মাথায় প্রথমে নিজের ব্লগে, পরে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন এই সরকারের মধ্যে রয়েছে অনেক সরকার। মোদীর নিশানা ছিল মূলত উচ্চপদস্থ আমলাদের দিকেই। তাঁর মতে ওই আমলারা ক্ষমতার অলিন্দে থাকতেই স্বচ্ছন্দ। আমলাতন্ত্রের ওই মৌরসিপাট্টা ভাঙতে প্রথম থেকেই সক্রিয় হন মোদী। তবে নিশ্চুপে।
সরকারে এসে প্রথমেই নরেন্দ্র মোদী জানান, ইউপিএ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন কোনও ব্যক্তিগত সচিব বা যুগ্মসচিব পর্যায়ের আমলাকে তাঁর মন্ত্রিসভার সতীর্থরা নিয়োগ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে শুরু হয় ইউপিএ-ঘনিষ্ঠ আমলাদের চিহ্নিত করার কাজ। কাজে নামানো হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও। ওইআমলাদের উপর গত তিন মাস ধরে নজরদারি চালিয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত হয়। তার পর মার্কিন সফরের ঠিক আগে গত কাল মধ্যরাতে রদবদলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় মোদী প্রশাসন। ৪০ জন যুগ্মসচিব ছাড়াও সরানো হয়েছে সচিব পর্যায়ের আট জন আমলাকে। যেমন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের বিশেষ অফিসার আই এস চাহাল। তাঁকে
ওই মন্ত্রক থেকে বদলি কেরে হয়েছে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকে। তেমনি আমদাবাদ পুরসভার কমিশনার তথা গুজরাত ক্যাডারের অফিসার গুরুপ্রসাদ মহাপাত্রকে বাণিজ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গুজরাতের আইএএস হিতেন্দ্রকুমার মাকওয়ানাকে নিয়ে আসা হয়েছে স্বরষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব করে।
যদিও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, এই প্রশাসনিক রদবদল মনমোহন জমানা থেকেই বকেয়া ছিল। সে দিক দিয়ে এটি একান্তই রুটিন কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy