রুদ্রপ্রয়াগে কেদারনাথ জাতীয় সড়কের উপর ধস। ছবি: পিটিআই।
উত্তরাখণ্ডের বেশির ভাগ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। ১১-১৪ অগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় রাজ্যের বহু জায়গায় ধস নামারও আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যবাসী এবং পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের তরফে এ প্রসঙ্গে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় ধস, প্লাবন এবং ভারী বৃষ্টির কথা জানিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে। সিরমুর জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধসের জেরে তার নীচে চাপা পড়ে যান একই পরিবারের পাঁচ জন। ওই জেলার বেশ কিছু গ্রাম নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে গ্রামবাসীদের।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দেহরাদূনে। ওই সময়ের মধ্যে রাজধানীতে ১০৯.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উধম সিংহ নগরে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৬৬ মিলিমিটার। চম্পাবতে ওই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৪.২ মিলিমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহরাদূনে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। অন্য দিকে, কালাধুঙ্গি এলাকায় বাউর নদী পেরোনোর সময় ভেসে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। অন্য দিকে, হৃষীকেশে মুনি কি রেতি এলাকায় একশোরও বেশি বাড়ি প্লাবিত হওয়ায় বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy