পূর্বাভাস মতোই সপ্তাহ শেষে বৃষ্টিতে ভাসল মুম্বই।
শুরু হয়েছিল গত কাল থেকেই। ধাপে ধাপে বেড়েছে দাপট। যার জেরে শনিবার সকাল থেকে কার্যত জলের তলায় শহর। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বার পরিস্থিতি ২০০৫ সালের থেকেও মারাত্মক হতে পারে। তাই প্রাণহানি বা বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখছে না বৃহন্মুম্বই পুরসভা। বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ঠাণেতে বাজ পড়ে ও গাড়ি দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাকে। বিপর্যয়ের জেরে আজ ৩২টি বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। বাতিল করা হয়েছে ৩টি। যদিও উড়ান বাতিলের খবর স্বীকার করেননি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের থেকে ১০-১৫ মিনিট দেরিতে চলছে লোকাল ট্রেন। রাস্তায় জল জমে গাড়ি আটকে তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট। শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, বর্ষা আসার আগে নালা পরিষ্কার করে না পুরসভা। আবর্জনা জমে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় হয়রানি হয় তাঁদের। আগামী কয়েক দিন আরও বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকায় বাইরের কাজকর্ম মুলতুবি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শহরবাসীকে। কোঙ্কণ ও গোয়া উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের ১২ জুন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে গোয়া এবং কর্নাটকেও।