জলের তোড়ে ধসে গিয়েছে রাস্তার একাংশ।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের একাংশ। দিল্লি, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশ। ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। নিখোঁজ আরও বেশ কয়েক জন।
লাগাতার বৃষ্টিতে যমুনার জলস্তর আচমকা বেড়ে যাওয়ায় বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গায়। তারই মধ্যে হরিয়ানার হথনীকুণ্ড বাঁধ থেকে ৮ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে যমুনায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে রাজ্য সরকার।
হিমাচল প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন নেপালি। গুরুতর আহত আরও ন’জন। কুলুতে বেড়াতে এসে আটকে পড়েছিলেন এক বিদেশি-সহ ২৫ জন পর্যটক। খাবার এবং আশ্রয় ছাড়াই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দু’দিন কাটে তাঁদের। সেই অবস্থা থেকে তাঁদের রবিবার উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় আরও অনেক পর্যটক এবং বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কালকা এবং শিমলার মধ্যে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে। শিমলা, সোলান, কুলু এবং বিলাসপুর জেলার স্কুলগুলি সোমবারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
This is Pabbar river
— Harsh Guleria(योगी भक्त) (@HarshGuleria90) August 18, 2019
Location Rohru Distt Shimla
Himachal Pradesh#himachalrains #himachalpradesh#floods pic.twitter.com/qQlEH2aB8R
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কিসের কথা! কথা হলে হবে ‘পিওকে’ নিয়ে, বললেন রাজনাথ
হিমাচলের পাশাপাশি আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের একাংশও। ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। নিখোঁজ অন্তত ২২ জন। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে উত্তরকাশী জেলার একাধিক গ্রাম। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। গাড়ি সমেত দেহরাদূনে জলের তোড়ে ভেসে যান এক মহিলা। জলের তোড়ে একাধিক বাড়ি ধসে পড়েছে পঞ্জাবেও। বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
তবে এই মুহূর্তে উত্তর ভারতের পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বরং আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনার জলস্তর বিপদসীমা ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা নিয়ে দিল্লিবাসীকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। অপেক্ষাকৃত নীচু জমিতে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন: গভীর অসুখ কাশ্মীরের মনে, বলছে ডাক্তারি পত্রিকা
বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে পড়শি রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও। গঙ্গা, যমুনা, ঘাঘরা, তিনটি নদীই ফুঁসছে সেখানে। বদায়ুঁ, গঢ়মুক্তেশ্বর, নারাউরা এবং ফারুখাবাদে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। পালিয়া কালানে সারদা নদী এবং এলগিন ব্রিজ এলাকায় ঘাঘরা নদীও বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।
ছবি: পিটিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy