বর্ষার প্রথম ধাক্কাতেই জলমগ্ন লখিমপুর, ধেমাজি, রঙিয়া, করিমগঞ্জ। ধেমাজির তুলসিবাড়ি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রী, আরতি বরা ও পূ্র্ণিমা বরা বাড়ি ফেরার পথে ফুঁসতে থাকা খালে পড়ে ভেসে যায়। পরে তাদের হেদ উদ্ধার করা হয়। বন্যার জলে ধেমাজির সার্কিট হাউস, এসপি অফিস, জেলাশাসকের বাংলোও জলমগ্ন। চলছে টানা বৃষ্টি। অরুণাচলের দিক থেকে উজানের নদীগুলিতে জল বাড়ছে। শিঙরা নদীর জলে নাওবৈচার ২৫টি গ্রাম ও রঙানদী, জিয়াঢল, ঘাই নদীর জলে জনাই ও ঢকুয়াখানায় প্রায় ৩০টি গ্রাম বানভাসি।
সিংলা নদীর জলে করিমগঞ্জের তেঘরিয়া, কাটারগুল, নবীপুর, ইলাসপুর, আঁধারিগ্রাম, ইচামাটি-সহ বিভিন্ন এলাকা বানভাসি। বহু এলাকাই বরাক উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্ন। আজ ভোরে ডিমা হালাও জেলার পাহাড় লাইনে ধস নামার ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে বরাক, মিজোরাম, ত্রিপুরা রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। গুয়াহাটি ও শিলচরের মধ্যে চলাচলকারী সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আগরতলা-শিলচর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে বদরপুরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কাপুরছড়ায় রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ায় হাফলঙ-শিলচর সড়ক যোগাযোগও বন্ধ।
মিজোরামের বিভিন্ন অংশও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রঙিয়ায় বরলিয়া নদীর জল দু’টি কাঠের সেতুকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ব্রহ্মপুত্রেও জল বাড়ছে দ্রুত। এর ফলে গুয়াহাটি ও উত্তর গুয়াহাটির মধ্যে ফেরি চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে নাগাল্যান্ডের ফেক-সহ বিভিন্ন স্থানে হড়পা বান নামায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ধস নামার খবর আসছে। ফেকে হড়পা বানে ভেসে গিয়েছেন মেলুরি গ্রামের পাঁচ বাসিন্দা। জখম একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি মৃতদেহও। বাকিদের খোঁজ চলছে। মণিপুর থেকেও বিস্তর ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy