তীর্থযাত্রীদের নিয়ে কেদারনাথ যাওয়ার পথে মাঝ-আকাশেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এক হেলিকপ্টারে। কাছাকাছি কোনও হেলিপ্যাড নেই, এমনকি কোনও ফাঁকা জায়গাও নেই যেখানে হেলিকপ্টারটি নামতে পারে। অগত্যা হাইওয়ের উপরই ওই হেলিকপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করান পাইলট! তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সিরসি থেকে পাঁচ জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে কেদারনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল হেলিকপ্টারটি। তবে মাঝপথে আচমকাই ওই হেলিকপ্টারের যান্ত্রিক ত্রুটি লক্ষ্য করেন পাইলট। কপ্টারটি দ্রুত অবতরণ করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আশপাশে কোনও হেলিপ্যাড বা ফাঁকা জায়গা না থাকায় সেটি নামানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তিনি খুব সন্তর্পণে হেলিকপ্টারটি রাস্তার মাঝখানেই অবতরণ করেন। যাত্রী এবং পাইলটের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে কপ্টারের পিছনের দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িও দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন:
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন উত্তরাখণ্ড অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের সদস্যেরা। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-কেও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে ঘটনাটি সম্পর্কে। আধিকারিকদের কথায়, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অবতরণের পর পরই যাত্রীদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।’’
চলতি বছরে চারধাম যাত্রা শুরুর পর থেকে এটি চতুর্থ হেলিকপ্টার, যাতে সমস্যা দেখা দিল। এর আগে কেদারনাথ হেলিপ্যাডের কাছে একটি হেলিকপ্টারকে জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছিল। উল্লেখ্য, যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ— চারধাম যাত্রা দেশের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র। প্রতি বছর হিমালয়ের কোলে প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার পুণ্যার্থী চারধামে যান। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক পুণ্যার্থীই হেলিকপ্টারে চেপে কেদারনাথ যাত্রা করেন। তবে বার বার হেলিকপ্টারে সমস্যা দেখা দেওয়ায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।