‘বনবিবি’তে পার্নো মিত্রের বিপরীতে আর্য দাশগুপ্তকে দেখে চমকে গিয়েছিল টলিউড। পোড় খাওয়া অভিনেত্রীর বিপরীতে তাঁর অভিনয় দেখে। পার্নোর সঙ্গে সাহসী দৃশ্যে দেখেও। তার পর অনেক দিন চুপচাপ। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব-সহ জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্তরে ছবিটি প্রশংসিত হলেও আর্য কোনও মাধ্যমেই নেই। কোথায় অভিনেতা? এই প্রশ্ন যখন টলিপাড়ার অন্দরে তখনই তাঁকে দেখা গিয়েছে ছোট পর্দায়। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘কুসুম’-এ গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের ছোট ছেলে তিনি, নাম ঈশান।
বড় পর্দার নায়ক, ছোট পর্দায় নায়কের ভাই... ফোন করে সে কথা তুলতেই আর্য বললেন, “খুব ভাল ছেলে। মনের দিক থেকে সোনার টুকরো। কিন্তু দুষ্টু। যার ফলে বিপাকে পড়ে। বেশ দুষ্টুমিষ্টি ক্যারেকটার বলতে পারেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘আগে ছোট পর্দায় অভিনয় করলে বড় পর্দায় ডাক পাওয়া যেত না। এখন সেই বিভেদ আর নেই। নিজেকে ‘ভার্সেটাইল’ প্রমাণিত করতে সব মাধ্যমেই সমান ভাবে কাজ করা দরকার। এখন ছোট পর্দায় ডাক পেয়েছি। আগামী দিনে আবার যখন বড় পর্দায় ডাক পাব সেখানে অভিনয় করব।’’
আর্যর এই বক্তব্য এখন কমবেশি প্রায় সমস্ত অভিনেতার। তার পরেও প্রশ্ন থেকেই যায়। যে ছবির দৌলতে আর্য আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত, সেই তিনি ছোট পর্দায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পেলে অভিনয়ে রাজি হন?
আরও পড়ুন:
“মাঝে অনেকটা সময় অভিনয়ে ছিলাম না। তার উপরে আমার এখন যা বয়স তাতে বড় পর্দায় নায়ক হওয়ার মতো নয়। কখনও আমি দ্বিতীয় নায়কের চরিত্রে রাজি হইনি। একটা সময়ের পর মনে হল, নিজেকে ভেঙে দেখি। দর্শকেরা সমান্তরাল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আমায় পছন্দ করে কি না। নইলে সত্যিই একেবারে বসে গিয়েছিলাম।” লম্বা বিরতির সময় অভিনেতা উপলব্ধি করেছেন, নিয়মিত অভিনয়ে না থাকলে কেউ তাঁকে মনে রাখবেন না। আস্তে আস্তে দর্শকের মন থেকে মুছে যাবেন তিনি। আবার ছোট পর্দার রোজ শুটিং অভিনেতাদের কাছে রোজ অভ্যাসে থাকার সমান। তাই আবার ছোট পর্দায় কাজের মাধ্যমে অভিনয় ঝালিয়ে নিয়ে আবার হয়তো বিরতি নেবেন। তার পর বড় পর্দায় বড় করে ফেরার স্বপ্নও দেখেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ১৫ দিনের শুটিং করে ফেলেছেন। অনেক দিন পরে ছোট পর্দায় ফিরে ভাল লাগছে অভিনেতার। আর্যর প্রথম ছবি ‘রংবাজ’। ওই ছবিতে দেবের ছোটবেলা করেছিলেন তিনি। পর্দার বাবা কুশল চক্রবর্তী। এই ধারাবাহিকে তিনিই আবার আর্যর বাবা। “চেনা বাবাকে পেয়ে কী যে ভাল লাগছে! এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে বড় পর্দার পর ছোট পর্দাতেও কুশলদার সঙ্গে কাজ করা হয়ে গেল”, খুশি গলায় জানালেন আর্য। একই ভাবে তিনি তৃপ্ত অঞ্জনা বসুর ‘ছোট ছেলে’ হতে পেরে।