Advertisement
E-Paper

জল বাড়ছে বরাকে, আশঙ্কা শিলচরে

বিপদসীমার উপরে বইছে বরাকের জল। বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। কাছাড়ের নীচু এলাকায় জলে ডুবেছে কয়েক হাজার একর কৃষিজমি। বন্ধ নদী পারাপারের ফেরি। জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, বন্যা মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সোম ও মঙ্গলবার মিজোরামে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৬
বন্ধ সরকারি ফেরি-চলাচল। ডিঙিনৌকাই ভরসা বরাক নদীতে। বৃহস্পতিবার স্বপন রায়ের তোলা ছবি।

বন্ধ সরকারি ফেরি-চলাচল। ডিঙিনৌকাই ভরসা বরাক নদীতে। বৃহস্পতিবার স্বপন রায়ের তোলা ছবি।

বিপদসীমার উপরে বইছে বরাকের জল। বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। কাছাড়ের নীচু এলাকায় জলে ডুবেছে কয়েক হাজার একর কৃষিজমি। বন্ধ নদী পারাপারের ফেরি। জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, বন্যা মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সোম ও মঙ্গলবার মিজোরামে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। গত কাল বিকেল থেকেই বরাকের জল বাড়তে শুরু করে। আজ সকালে বরাক, সোনাই, জাটিঙ্গা-সহ উপনদীগুলিতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জলসম্পদ বিভাগ সূত্রে খবর, উজান বরাকের ছোটবেকরা এলাকায় এ দিন দুপুর ৩টেয় বিপদসীমার ০.৬৬ মিটার উপর দিয়ে জল বইছিল। লক্ষিপুরের পরিস্থিতিও অনেকটা এক। সেখানে জলের বিপদসীমা ২৩.৮৮ মিটার হলেও, বিকাল ৪টেয় ছিল ২৪.৩৪ মিটার। শিলচর, আমড়াঘাট, বদরপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় নদীর জল বিপদসীমার উপরে রয়েছে।

প্রশাসন জানিয়েছে, বরাকের জল লক্ষীপুরের ছোটমামদা, বিন্নাকান্দি, চেংকুড়ি হাওরে ঢুকেছে। ডুবেছে হাজার হাজার বিঘা ধানের খেত। কাঠিগড়া বিধানসভা এলাকার তালকর, জাবদা, নরপতি, আমতলা, কড়ইকান্দি, তেলিটিকর, হরিটিকর-সহ কয়েকটি হাওরের শালি ধান জলের তলায়। জলমগ্ন বাড়িঘরও।

জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ডিপিএস শামিম আহমেদ লস্কর জানান, ঘন্টায় ঘন্টায় গোটা জেলার খবর নেওয়া হচ্ছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ তৈরি। জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, ২১.৫ মিটার পর্যন্ত নদীর জলসীমা বাড়লেও, শিলচর শহরে জল ঢোকার আশঙ্কা নেই। তবে প্রতিটি বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।

Flood Silchar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy