প্রতীকী ছবি।
প্রত্যাশা থাকলেও মধ্যবিত্তের জন্য আয়করে বিশেষ ছাড় মিলল না। গরিব, চাষিদের সুরাহা দিতে গিয়ে মধ্যবিত্তকে চটানোর ঝুঁকি নিলেন নরেন্দ্র মোদী। মধ্যবিত্তের মধ্যে চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, পেশাদারের শ্রেণিবিভাজনও করলেন।
বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়েনি। তবে চিকিৎসা ও যাতায়াতের খরচ খাতে ৪০ হাজার টাকার ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’ ঘোষণা করে অরুণ জেটলির দাবি, এতে মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবীর সুবিধা হবে। কারণ ছাড় পেতে গেলে কোনও বিল বা নথি জমা দিতে হবে না। উল্টো দিকে আয়করের পরিমাণের উপর ৩ শতাংশ শিক্ষা সেসের বদলে বসানো হল ৪ শতাংশ শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেস। ফলে এক দিকে করের বোঝা কমলেও অন্য দিকে বাড়ল।
এখন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার এক শ্রেণির কর্মচারী বছরে চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচে কর ছাড় পান। যাতায়াতের খরচে ১৯,২০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় মেলে। বেতনের বাইরে অতিরিক্ত আয় হিসেবে, চিকিৎসা, যাতায়াতের খরচের বিল দেখালে এই সুবিধা মিলত। তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি লাভ মাত্র ৫,৮০০ টাকা আয়ে কর ছাড়। সুবিধা হল, কোনও বিল দেখাতে হবে না। কিন্তু যাঁরা এই সুবিধা পান না, তাঁদের ক্ষেত্রে পুরো ৪০ হাজার টাকাই লাভ। তাঁদের জন্য আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে হল ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। উল্টো দিকে আয়করের উপর শিক্ষা-স্বাস্থ্য সেস বেড়েছে। কর বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, লাভ হবে না ক্ষতি, তা নির্ভর করবে, কার আয়ে কত হারে কর বসে এবং এত দিন কে কতটা সুবিধা পেতেন, তার উপর।
জেটলির যুক্তি, চাকুরিজীবী, বেতনভোগী মধ্যবিত্তই এই সুবিধা পাবেন। ব্যবসায়ী, পেশাদারদের কর ফাঁকির সুযোগ থাকে। তাই তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় কর্পোরেট করের হার ৩০ থেকে ২৫ শতাংশ করায় সুবিধা পাবেন মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীরা।
চাকরিজীবী শহুরে মধ্যবিত্তকে চটানোর সাহস বিজেপি কোথায় পেল? দলীয় নেতাদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে মধ্যবিত্তরা আছেন, থাকবেন। গুজরাতেই তা বোঝা গিয়েছে। তা ছাড়া বাজেটের পরেও তাঁদের মন জয়ের রাস্তা তৈরি করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy