এক তরুণীকে দুই ভাই মিলে বিয়ে করেছিলেন। হিমাচল প্রদেশের নেগি পরিবারের সেই বিয়ে গোটা দেশে চর্চার কেন্দ্রে উঠে আসে। পাশাপাশি, এই ধরনের কাজের জন্য বিপুল সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বিয়ের পর পরই যখন নেগি ভাইদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়, তখন তাঁরা জানিয়েছিলেন, এই বিয়েতে তাঁরা তিন জনেই খুশি। শুধু তা-ই নয়, তিন জনের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে তাঁদের। নববধূও জানান, তিনি এই সম্পর্কে খুশি।
কিন্তু তাঁরা তিন জনে এই বিয়েতে খুশি হলেও, তাঁদের নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। এ বার সমালোচকদের জবাব দিলেন নেগি ভাইদের এক জন। প্রদীপ নেগি বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে আমাদের নিয়ে নানা রকম কটূক্তি করা হচ্ছে। কিছু লোক এই সমালোচনা করছেন। তাঁদের উদ্দেশে বলি, আপনারা অনেক কিছুই বলতে পারেন, কিন্তু তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।’’
প্রদীপ আরও জানিয়েছেন যে, তাঁদের হাত্তি সম্প্রদায়ে ‘জোড়িদার প্রথা’ নতুন কিছু নয়। প্রদীপের ভাই কপিল আবার জানিয়েছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় এই বিয়ে করেছেন। কোথা কোথাও তো আবার জোর করে বিয়ে করানো হয়। এক স্ত্রীকে দুই ভাইয়ের মেনে নিতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। অন্য দিকে, তাঁদের স্ত্রীরও দুই স্বামীকে নিয়ে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। তাঁদের পরিবার সম্পূর্ণ ভাবে এই বিয়েকে সমর্থন করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সংবাদের শিরোনামে আসার জন্য এই বিয়ে করেননি তাঁরা। আবার প্রদীপ বলেন, ‘‘আমাদের সম্প্রদায়ের যে সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি রয়েছে, সেগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই বিয়ের উদ্দেশ্যই হল, পরস্পরের মধ্যে একটা বন্ধন তৈরি করা। তাই লোকজনের কাছে আবেদন, আপনারা অযথা আমাদের নিয়ে মাথা ব্যথা করবেন না।’’ কপিল বলেন, ‘‘এটা আমাদের সংস্কৃতি।’’
গত মাসেই সুনীতা চৌহানকে বিয়ে করেন প্রদীপ এবং কপিল নেগি। এক তরুণীকে দুই ভাই বিয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। যদিও দুই ভাই এবং তাঁদের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, এই বিয়েতে তাঁরা তিন জনেই খুশি। তাঁদের নিয়ে সমালোচনা শুর হতেই নেগি ভাইয়েরা দাবি করেন, ভুল কিছু করেননি। এই বিয়ে নিয়ে গর্বিত তাঁরা।