ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে জলমগ্ন চেন্নাই। ছবি: পিটিআই।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দশা চেন্নাইয়ের। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও রাস্তায় জল জমে আছে। নৌকা চলছে জলমগ্ন রাস্তায়। ঝড়বৃষ্টির কারণে শহরে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চেন্নাইয়ের বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে। তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ঝড়। আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়াটিই চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। তার পর অবশ্য শক্তি হারায় ঘূর্ণিঝড়।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, তীব্র ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম শক্তি হারিয়েছে। বর্তমানে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চল হিসাবে উত্তর-পূর্ব তেলঙ্গানা এবং তৎসংলগ্ন ছত্তীসগঢ়, ওড়িশার দক্ষিণ অংশে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির উপকূল সংলগ্ন এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। এক দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও চেন্নাইয়ের জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি। বহু গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। পানীয় জল, খাবার এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় আবশ্যক উপাদান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না।
মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, মিগজাউমের প্রভাবে চেন্নাইয়ে চলতি বছরে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টির পরিমাণ ২৯ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বাংলাতেও পড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে তাপমাত্রাতেও হেরফের হচ্ছে। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি রয়েছে তাপমাত্রা।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের দক্ষিণের বিভিন্ন জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ১৫ ডিগ্রির আশপাশে। রাজধানী কলকাতার তাপমাত্রাও নেমেছিল ১৮ ডিগ্রির নীচে। কিন্তু বুধবার সেই তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় ঠেলে উঠেছে ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে অন্তত ছ’ডিগ্রি বেশি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy