ফুচকা খাবেন বলে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলন। আর ফেরেননি! স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার গল্প এ ভাবে বুনেছিলেন স্বামী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই স্ত্রীর ফুচকা খেতে যাওয়ার গল্প সাজিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
গুজরাতের রাজকোটে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত মহিলার নাম স্নেহাবেন আসোদিয়া। রাজকোটের ভগবতীপাড়ার হিতেশের স্ত্রী। সেই সূত্র ধরে হিতেশকে আটক করে পুলিশ। যদিও স্ত্রীর খুনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই প্রথমে পুলিশকে জানান হিতেশ। তাঁর গল্প বিশ্বাস হয়নি তদন্তকারীদের।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্নেহাকে খুনের নেপথ্যে হিতেশের কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, তা খুঁজে বার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, বছর তিন আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দু’বছরের সন্তানও রয়েছে ওই দম্পতির। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে ঝগড়া-অশান্তি লেগে ছিল তাঁদের মধ্যে। স্নেহা নাকি কথায় কথায় সন্দেহ করতেন। অফিসে থাকলে বার বার ফোন করে বিরক্ত করতেন হিতেশকে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় স্নেহা তাঁর স্বামীকে ফোন করে মনে করিয়ে দেন রাতে তাঁদের রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার কথা। কাজের মাঝে ফোন করে এই কথা বলায় রেগে যান হিতেশ। যদিও ফোনে কিছু বলেননি তিনি। মনে মনে স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেন। একটি রড জোগাড় করেন হিতেশ। বাড়ি ফিরে স্নেহাকে জানান, রেস্তরাঁয় যাওয়ার কথা। দু’জনে মিলে স্কুটারে করে বার হন। পরে একটি নির্জন স্থানে স্কুটার দাঁড় করান হিতেশ। তখনই অতর্কিতে পিছন থেকে স্নেহার মাথায় আঘাত করেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্নেহা। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত হতেই বাড়ি ফিরে যান হিতেশ।