যুবক ও এক ক্যাব চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রতীকী চিত্র
লকডাউনে কাজ হারানোর হতাশায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারেন হায়দরাবাদের এক যুবক। যদিও তিনি নিজের ও যুবতীর পরিবারকে জানান, করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবতীর।
পাঁচ দিন আগে এসভিআরআর সরকারি হাসপাতালের কাছে একটি স্যুটকেসের মধ্যে এক যুবতীর দগ্ধ দেহ পায় পুলিশ। তার পরেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখতে পায় এক ক্যাব চালকের সঙ্গে মিলে এক যুবক স্যুটকেসটি সেখানে ফেলেছে। ক্যাব চালককে চিহ্নিত করে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে দেহটি চিত্তুরের রামসমুন্দ্রমের বাসিন্দা ভুবনেশ্বরী নামের এক যুবতীর। ২০১৯ সালে কাদাপার শ্রীকান্ত রেড্ডি নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দেড় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের সময় কাজ চলে যায় শ্রীকান্তর। তার পরেই মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হত। গত ২২ জুন দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার পরেই রাগের মাথায় ভুবনেশ্বরীকে পুড়িয়ে মারেন শ্রীকান্ত। পরে রাতের দিকে স্ত্রীর মৃতদেহ একটি স্যুটকেসে ভরে ফেলে দিয়ে আসেন তিনি।
স্ত্রীকে খুন করার পরে তাঁর ও নিজের পরিবারকে শ্রীকান্ত জানায়, করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভুবনেশ্বরীর। তাঁর দেহ হাসপাতালের কর্মীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। মিথ্যা বলেও অবশ্য শেষ রক্ষা হল না শ্রীকান্তর। তাঁর সঙ্গে ক্যাব চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy