Advertisement
E-Paper

ম্যাচিং ব্লাউজ নেই, জেলের শাড়ি পরলেনই না শশিকলা!

মুখ ভার চিন্নাম্মার। সেল থেকে বেরচ্ছেন না। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। অনুগামীরা জেলে পৌঁছেছিলেন দেখা করতে। তাঁদেরও ফিরিয়ে দিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:৩২
— ফাইল চিত্র।

— ফাইল চিত্র।

মুখ ভার চিন্নাম্মার। সেল থেকে বেরচ্ছেন না। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। অনুগামীরা জেলে পৌঁছেছিলেন দেখা করতে। তাঁদেরও ফিরিয়ে দিলেন।

বেঙ্গালুরুর পরাপ্পনা অগ্রহরা সেন্ট্রাল জেলের ১০৮ নম্বর সেলে রয়েছেন শশিকলা নটরাজন। সে সেল একেবারেই সাধারণ মানের। সেলের মধ্যেই আধখানা দেওয়ালের আবডাল, তার ও পারে শৌচাগার। বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেই নিজের জন্য প্রথম শ্রেণির সেলের দাবি জানিয়েছিলেন শশিকলা। পত্রপাঠ খারিজ হয়ে যায় সে দাবি। তখনই মেজাজটা খিঁচড়ে গিয়েছিল চিন্নাম্মার। জেল চত্বরে তিনি পা রাখার পরেই সেই অসন্তোষের আঁচ মেলে। শশিকলার জন্য যে সেল বরাদ্দ হয়েছে, জেলের গেট থেকে তার দূরত্ব খুব কম নয়। জেলের নিয়ম অনুযায়ী মেন গেট থেকে সেল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য শশিকলাকে জিপে উঠতে বলা হয়। এতেই ঝাঁঝিয়ে ওঠেন শশিকলা। বলেন, ‘‘আমি কোনও ছিঁচকে চোর নই। আমি ওই জিপে বসে যাব না। জেলের সেলে গিয়ে বসব। কিন্তু এক জন অপরাধীর মতো ওই খোলা জিপে বসে যাব না।’’ শশিকলাকে জানানো হয়, মেন গেট থেকে তাঁর সেলের দূরত্ব অনেকটা, জিপে করেই যেতে হবে। কিন্তু অনড় শশিকলা জানিয়ে দেন, যত দূরই হোক, তিনি হেঁটেই যাবেন। শশিকলাকে কিছুতেই জিপে তুলতে পারেনি জেল কর্তৃপক্ষ। শেষে তাঁকে হাঁটিয়েই সেল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। জেল সূত্রেই এই খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে জেল কর্তারা কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

তখন জেলের পথে শশিকলা। —ফাইল চিত্র।

সেলে ঢোকার পরও বুধবার রাতে শশিকলার মেজাজ গরমই ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শে শশিকলার জন্য সেলের ভিতরে একটি ছোট্ট চৌকির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। তাঁর আত্মীয়া ইলাভরসিকেও তাঁর সেলেই রাখা হয়েছে। রাতে দু’এক বার ইলাভরসির সঙ্গে শশিকলা কথা বলেছেন। তবে আর কারও সঙ্গে তিনি কথা বলেননি। প্রথম রাতটা নাকি প্রায় বিনিদ্রই কেটেছে। প্রায় ভোর পর্যন্ত জেগে ছিলেন চিন্নাম্মা। তার পর অল্প সময়ের জন্য শুয়েছিলেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক ঘুমিয়েই উঠে পড়েন। ঘুম থেকে উঠেও সেল ছেড়ে নড়েননি। কারও সঙ্গে কথা বলেননি, এমনকি তামিলনাড়ুতে কী চলছে, সে খবরও জানতে চাননি।

আরও পড়ুন: ভোটের মুখে ফের বিতর্ক, প্রেমিকের হয়ে ক্ষমাভিক্ষা কোণঠাসা শর্মিলার

জেলে গিয়ে প্রথম কয়েক দিন কথা না বলা আর আত্মমগ্নতাতেই যে সীমাবদ্ধ রয়েছেন শশিকলা নটরাজন, এমনটা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি খানিক অসহযোগিতাই করছেন বলে খবর। জেলের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মানতেও তাঁর ঈষৎ আপত্তিই রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কয়েদিদের জন্য নির্দিষ্ট সাদা শাড়ি দেওয়া হয়েছিল শশিকলা নটরাজনকে। তিনি নাকি সে শাড়ি পরতে অস্বীকার করেছেন। চিন্নাম্মা বলেছেন, ম্যাচিং ব্লাউজ নেই, তাই ওই শাড়ি পরবেন না।

Sasikala Natarajan Jail Bengaluru AIADMK
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy