Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Theft

‘চুরির টাকা গরিব এবং পশুদের জন্য দান করে দিই’! চোরের জবাব শুনে স্তম্ভিত পুলিশ সুপার

চোরের একটি দলকে থানায় তুলে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। সেখানে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব। তাদের মধ্যেই এক চোরকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “চুরি করে কেমন লাগছে?”

থানায় চোরকে জিজ্ঞাসাবাদ ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার পুলিশ সুপার। ছবি: সংগৃহীত।
সংবাদ সংস্থা
রাইপুর শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৩৬
Share: Save:

কবে থেকে চুরি করছিস? এই তো স্যার, কয়েক দিন হল। আবার মিথ্যা কথা! থানায় তুলে নিয়ে আসা এক চোরের সঙ্গে পুলিশ সুপারের কথোপকথনটা শুরু হয়েছিল এ ভাবেই। সেই কথোপকথনই এখন ভাইরাল।

চোরের একটি দলকে থানায় তুলে নিয়ে এসেছিল পুলিশ। সেখানে ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব। তাদের মধ্যেই এক চোরকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “চুরি করে কেমন লাগছে?” তার জবাব শুনে থানায় উপস্থিত অন্য পুলিশ আধিকারিকরা হাসিতে ফেটে পড়েন। কথোপকথনটা ঠিক এ রকম—

পুলিশ সুপার: আচ্ছা, কত দিন ধরে এই লাইনে?

চোর: বেশি দিন নয়। তবে আমি চুরি করিনি।

পুলিশ সুপার (হেসে): তা হলে কি চুরি দেখতে গিয়েছিলি? (থানার অন্য আধিকারিকরা এ কথা শুনে হেসে ওঠেন।)

পুলিশ সুপার: তা, চুরি করে কেমন লাগছে? (এর পরের জবাব শুনে পুলিশ সুপারও নিজের হাসি চেপে রাখতে পারেননি)

চোর: চুরি করতে তো ভালই লাগে। তবে পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। মনে হয়েছে, আমি ভুল কাজ করছি। (চোরের জবাব শুনে আবার হাসির রোল উঠল থানার ভিতরে)

পুলিশ সুপার: ও, এর জন্য অনুতাপও হয়েছে তোর? তা, চুরি করে কত টাকা পেয়েছিস?

চোর: ১০ হাজার টাকা।

পুলিশ সুপার: কী করলি ওই টাকা দিয়ে?

চোর: গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করে দিয়েছি। কম্বল দিয়েছি। রাস্তার কুকুর, বিড়ালের জন্য খরচ করেছি।

পুলিশ সুপার: তা, ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেয়েছিস, এই কাজ করে।

চোর: ওঁর আশীর্বাদেই তো এ কাজ করতে পারছি।

চোরের এই জবাব শুনে পুলিশ সুপার থ। হাসিতে ফেটে পড়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Theft Chhattisgarh police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE