ফোনটা বেজে উঠতেই রিসিভ করেছিলেন গুরুগ্রামে অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক কৃষ্ণকান্ত শর্মা। ফোনের ও পার থেকে শুধু কয়েকটা কথা ভেসে এল…‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি’। তার পরই ফোনটা কেটে গেল। ফোনটা করেছিলেন বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ।
গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। শনিবার বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মহীপাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহীপাল তাঁর সার্ভিস রিভলভার থেকে প্রথমে বিচারকের স্ত্রীর বুকে গুলি করেন, তার পর ছেলের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।ধ্রুবের মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। এর পরই ধ্রুবকে টেনে গাড়ির ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করেন মহীপাল। কিন্তু না পেরে তাঁদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন।যদিও ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকেগুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।