নতুন শাহি ইমাম শাহবান বুখারির ‘দস্তরবন্দি’ (অভিষেক) অনুষ্ঠানে হাজির থাকার নিমন্ত্রণ পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য শাহবান বুখারির বাবা তথা দিল্লির জামা মসজিদের বর্তমান শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারির আমন্ত্রণ পেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। মোদীকে না-ডাকা হলেও আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাজনাথ সিংহ, হর্ষবর্ধনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আমন্ত্রণ পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মুলায়ম সিংহ যাদব বা অখিলেশ সিংহ যাদবও। বিশ্বের প্রায় তিন হাজার অতিথি থাকবেন ২২ নভেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে।
মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হল না কেন? বুখারির জবাব, “ভারতের মুসলিমরা এখনও মোদীর সঙ্গে একাত্মবোধ করতে পারছেন না। গুজরাত দাঙ্গার জন্য মুসলমিরা তাঁকে ক্ষমা করেননি।” তিনি আরও বলেন, “এটা ব্যক্তিগত লড়াই নয়। মোদী আমাদের পছন্দ করেন না। আমরাও মোদীকে পছন্দ করি না। মোদী সব সময় মুসলমানদের সঙ্গে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন।”
স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, “নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা চরম অসৌজন্যের পরিচয়। দেশের মুসলমানরা ভারতের জন্য বাঁচে ও প্রাণ দেয়। তাঁদের অভিভাবক হয়ে বুখারি এমন কাজ করতে পারেন না।” বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি বুখারির সঙ্গে আগাগোড়া সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা কংগ্রেস।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, শরিফের সঙ্গে বুখারির ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। মে মাসে ভারতে এসে শরিফ বুখারির সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু শরিফকে আমন্ত্রণ করা হলেও ভারত-পাক অশান্তির এই বাতাবরণে নয়াদিল্লিতে তাঁর পা রাখার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, শরিফ আসুন বা না আসুন, এই অনুষ্ঠানে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মোদী-বিরোধিতার পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকলেন বুখারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy