Advertisement
E-Paper

বোনের সঙ্গে প্রেম! কলেজছাত্রকে খুন করে জঙ্গলে পুঁতে দিলেন দাদা, ব্রেসলেট দেখে পচাগলা দেহ শনাক্ত

১৯ বছরের একটি সাধারণ তরুণের সঙ্গে কার এত শত্রুতা? তদন্তে নেমে প্রথমে মৃতের দুই বন্ধুকে আটক করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তার পর অন্য এক যুবককে গ্রেফতার করে তারা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:১১
Madhya Pradesh Murder Case

—প্রতীকী চিত্র।

দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ১৯ বছরের এক কলেজপড়ুয়া। আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁর নিখোঁজ হওয়ার দিন চারেক পর মধ্যপ্রদেশের বর্গী থানার একটি জঙ্গল থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সপ্তাহ দুয়েক পর জানা গেল ওই দেহ ১৯ বছরের সত্যেন্দ্র উইকের নামে কলেজছাত্রেরই । অভিযোগ, প্রেমিকার দাদা এবং তাঁর বন্ধুদের হাতে খুন হয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ অগস্ট বর্গী থানার জঙ্গল থেকে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে তারা। কিন্তু দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষমেশ একটি নিখোঁজ ডায়েরি এবং মৃতদেহের হাতে থাকা একটি রাখি এবং ব্রেসলেট দিয়ে দেহটি শনাক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, মৃতের নাম সত্যেন্দ্র। কলেজছাত্র ওই যুবকের বাড়ি অকুস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে। বাবার নাম তিরথ উইকে। গত ১৫ অগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

তরুণের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। ১৯ বছরের একটি সাধারণ তরুণের সঙ্গে কার এত শত্রুতা? তদন্তে নেমে প্রথমে সত্যেন্দ্রের দুই বন্ধুকে সন্দেহ করেছিল পুলিশ। কারণ, ওই দু’জনের সঙ্গে সত্যেন্দ্রকে শেষ বার দেখেছেন পরিচিতেরা। যদিও দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরেও তাঁদের কাছে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। হাল ছাড়েননি তদন্তকারীরা। মৃতের বন্ধুদের কাছে তাঁরা জানতে পারেন, এক তরুণীর সঙ্গে সত্যেন্দ্রর প্রেম ছিল। খোঁজ করা হয় ওই তরুণীর। তার পরেই পরিষ্কার হয়ে যায় খুনের কারণ।

পুলিশ জানিয়েোছে, যে তরুণীর সঙ্গে সত্যেন্দ্রর সম্পর্ক ছিল তাঁর দাদা ওই কলেজপড়ুয়াকে অপছন্দ করতেন। বোনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে শুনে খুনের ষড়যন্ত্র করেন। শচিন যাদব নামে মূল অভিযুক্তের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে আটক করেন তাঁরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই যুবক জানান, সত্যেন্দ্রকে তাঁরা মোট পাঁচ জন মিলে খুন করেছেন। কারণ, তাঁদের এক বন্ধুর বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই তরুণের।

জানা গিয়েছে, কথা বলবেন বলে বোনের প্রেমিককে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এর পর শ্বাসরোধ করে খুন করেন জঙ্গলে। খুনের প্রমাণ লোপাট করার জন্য চার বন্ধুর সাহায্য নিয়ে ওই জঙ্গলেই দেহটি পুঁতে দেন।

ইতিমধ্যে শচিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সত্যেন্দ্রর প্রেমিকার দাদা এবং বাকি দু’জন পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। তরুণের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Murder Case Crime police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy