Advertisement
E-Paper

ওড়িশার রাস্তায় ১৫ বছরের ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালালেন তিন যুবক! ভর্তি ভুবনেশ্বর এমসে

আবার ওড়িশা! বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাতে আক্রান্ত স্কুলছাত্রী। তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তিন জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটিকে ভর্তি করানো হয়েছে এমসে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৩:০২
Odisha Student Attacked

—প্রতীকী চিত্র।

বন্ধুর বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল বছর পনেরোর এক ছাত্রী। হঠাৎ তার রাস্তা আটকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেলেন তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরীকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাস্থল ওড়িশার নীমপড়ার বেয়াবার।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী,মেয়েটির রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিলেন তিন জন। কিছু ক্ষণ কথা কাটাকাটি হয় মেয়েটির সঙ্গে তাঁদের। তার পরেই মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালান তিন জন। দগ্ধ অবস্থায় রাস্তায় ছটফট করছিল মেয়েটি। কয়েক জন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর যায় পুলিশের কাছে। পরে মেয়েটিকে ভুবনেশ্বরে এমসে স্থানান্তর করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মেয়েটির হাত-পা এবং গলা পুড়ে গিয়েছে। শরীরের অন্যান্য অংশেরও ক্ষতি হয়েছে।

মেয়েটির পরিবারের দাবি, এক বন্ধুকে বই দেওয়ার জন্য সকালে বেরিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি। বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত শত্রুতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে তারা। তা ছাড়া প্রণয়ঘটিত কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছে পরিবার। অন্য দিকে, পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে পারেনি। উল্লেখ্য, যে জায়গায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে থানা মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফ সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

ছাত্রীকে হেনস্থা এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন ওড়িশার উপমুখ্যমন্ত্রী প্রবতী পারিদা। এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে মহিলা উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, অবিলম্বে অভিযুক্তদের ধরা হবে। আইনের মাধ্যমে তাঁদের কঠিনতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেছেন, মেয়েটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবে ওড়িশা সরকার। তিনি হাসপাতালে দেখতে যাবেন ছাত্রীটিকে।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে ওড়িশার বালেশ্বরের ফকির মোহন কলেজের এক ছাত্রী অধ্যক্ষের ঘরের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরান। অভিযোগ, বার বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনা নিয়ে এখনও তোলপাড় চলছে ওড়িশার রাজনৈতিক মহলে। তার মাঝে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাপানউতর শুরু হল।

Odisha Crime set fire
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy