কয়েক দিন ধরে পেটে তীব্র ব্যথা। সকাল থেকে শুরু হত বমি। কিছুতেই চিকিৎসকেরা যুবতীর রোগ ধরতে পারছিলেন না। শেষমেশ এমআরআই করা হল রোগিণীর। রিপোর্ট দেখে তাজ্জব চিকিৎসকেরা। কারণ, জরায়ুর বদলে রোগিণীর ভ্রূণ রয়েছে যকৃতে। এমন ‘মেডিক্যাল কেস’ ভারতে প্রথম বলে দাবি রোগীর চিকিৎসকের। জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের যুবতীর আগে সারা বিশ্বে আট জন মহিলার শরীরে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
কিছু দিন আগে মেরঠের একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে পরীক্ষা করিয়েছিলেন পেটের ব্যথায় কষ্ট পাওয়া যুবতী। এমআরআই স্ক্যানের পর রেডিয়োলজিস্ট কেকে গুপ্ত চমকে যান। তাঁর কথায়, ‘‘স্ক্যানের পর আমি তো বিস্মিত। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দেখলাম, যুবতীর যকৃতের ডান দিকে ভ্রূণ। স্পন্দন স্পষ্ট।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি আমার দীর্ঘ কেরিয়ারে এমন ঘটনা এই প্রথম দেখলাম।’’ গুপ্ত-সহ অন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এর আগে বিশ্বে এমন ঘটনা আট জন মহিলার শরীরে দেখা গিয়েছে। যতটুকু তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে, তাতে মনে করছেন ভারতে এমন ‘কেস’ প্রথম।
জরায়ুর বদলে ডিম্বাণু শরীরের অন্যত্র তৈরি হলে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘এক্টোপিক প্রেগনেন্সি।’ উত্তরপ্রদেশের ওই যুবতী এমনই পরিস্থিতির শিকার। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ, শরীরের মধ্যে রক্তক্ষরণ হতে থাকে রোগীর।
আরও পড়ুন:
উত্তরপ্রদেশের রোগিণীর যকৃতে ভ্রূণের বয়স প্রায় ১২ সপ্তাহ। চিকিৎসকের কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে, যুবতীর পেটে ভ্রূণ জীবিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। চিকিৎসকেরা জানান, গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্বাভাবিক। জরায়ুর পরিবর্তে যকৃতই নিষিক্ত ডিম্বাণুর বৃদ্ধির জায়গা হয়ে ওঠে।