পুরনো নোট জমা করেই রেহাই নেই। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে যাঁরা ৫ লক্ষ টাকার বেশি পুরনো নোট নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন, এ বার তাঁদের আয়কর দফতরের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। কেন্দ্রীয় রাজস্বসচিব হাসমুখ আধিয়া এ কথা জানিয়েছেন। এই টাকা কোথায় কোথায় জমা পড়েছে, তা খুঁজে বের করতেও বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে সরকার। এর তথ্য পেতে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে বড় অঙ্কে ৫০০ ও ১০০০ টাকার বাতিল নোট কারা জমা করেছেন, আয়কর ও অন্য আর্থিক অপরাধ দমন সংস্থাগুলি সে দিকে নজর রেখে চলেছে। ওই ব্যক্তিদের পেশ করা আয়কর রিটার্নের সঙ্গেও টাকা
জমার তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব জানিয়েছেন, আয়কর দফতর ইতিমধ্যেই ১৮ লক্ষ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে, যাঁদের দেওয়া আয়কর তথ্যের সঙ্গে বড় অঙ্কের জমা নগদের কোনও সামঞ্জস্য নেই। ওই টাকা কী ভাবে তাঁরা জমা করলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আয়কর দফতর। ই-মেল বা এসএমএসের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে।
তবে কালো টাকা উদ্ধারের ঘোষিত প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’-য় টাকা জমা করে ইতিমধ্যেই যাঁরা ৫০ শতাংশ কর দিয়েছেন, তাঁদের ওই টাকার সূত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না। সম্পত্তি কর ও কর সংক্রান্ত অন্য আইনে এই টাকার ছাড় রয়েছে। কিন্তু এই আয় ঘোষণায় ফেমার মতো আইনে ছাড় মিলবে না।
আধিয়া জানিয়েছেন, ১০ নভেম্বরের পরে ব্যাঙ্কে সম্পূর্ণ আয়ের ঘোষণা করে কেউ যদি ৫০ শতাংশ কর দিয়ে দেন, আয়কর দফতর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।
বড় অঙ্কে পুরনো নোট জমার তদন্তের পাশাপাশি বেনামি সম্পত্তিতে আটকে থাকা কালো টাকা উদ্ধারেও পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে আয়কর দফতর। গত কয়েক দিনে ৪২টি বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে আরও ৮৭ জনকে।