প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একে অপরকে আরও বেশি সহযোগিতার বার্তা দিল ভারত ও ইজ়রায়েল। গত কাল নয়াদিল্লিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল আমির বারাম। পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, ইজ়রায়েলি ডিজি পহেলগামের সন্ত্রাস হামলার নিন্দা করেছেন এবং জানিয়েছেন সন্ত্রাস দমনে দিল্লির সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁরা।এর জবাবে রাজেশ জানিয়েছেন, ভারতও কোনও ভাবে সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস করতে রাজি নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
সন্ত্রাস নিয়ে কথা হলেও গাজ়ার যুদ্ধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয়নি। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জে এ নিয়ে প্রথম সরব হল ভারত। ভারতীয় প্রতিনিধি জানান, মাঝেমাঝে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করা নয়, পাকাপাকি ভাবে হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। ২০২৩-এ শুরু হওয়া গাজ়ার যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতি দিন প্রাণ হারাচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে প্যালেস্টাইনি। এর মধ্যে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ। অভিযোগ, গাজ়া ভূখণ্ডে ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইজ়রায়েল। যে এক-দু’টো ত্রাণ শিবির সক্রিয় রয়েছে, সেখানেও গুলি করে প্যালেস্টাইনিদের হত্যা করা হচ্ছে। ইজ়রায়েল সে সব মানতে নারাজ। আজ ইজ়রায়েলের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছে, তারা আসলে হামাসের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইজ়রায়েলের দাবি, ৪৫০০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজ়ায় প্রবেশ করেছে। ২৫০০ টন শিশুদের খাবার পাঠানো হয়েছে সেখানে। তাদের বক্তব্য, ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে যুদ্ধবিরতির রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)