শুল্ক-সংঘাতের আবহেই নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি করল নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন। আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ওই রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। শুক্রবার এক্স পোস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব (নতুন পদমর্যাদা অনুযায়ী ‘যুদ্ধসচিব’) পিট হেগসেথ এ কথা জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালমপুরে শুক্রবার আসিয়ান প্রতিরক্ষা সম্মলনের ফাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে হেগসেথের বৈঠক হয়। সেখানেই সই হয় দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। তার পরে এক্স পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আস্থাভাজন হেগসেথ লিখেছেন, ‘‘আমি রাজনাথ সিংহের সঙ্গে ১০ বছরের আমেরিকা-ভারত প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত করেছি।’’
আরও পড়ুন:
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। সরকারি সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ায় রাজনাথ-হেগসেথ আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিনের সরবরাহ। এই ইঞ্জিনের সরবরাহে দেরি হওয়ায় ভারতীয় বায়ুসেনাকে চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী তেজস যুদ্ধবিমান দিতে সমস্যায় পড়েছে রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)।