ফাইল চিত্র।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চিন মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে যে সংবাদ সামনে এসেছে, তাকে ‘ভুয়ো খবর’ বলে উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। এই অস্ত্র প্রয়োগ করে ভারতীয় সেনাকে হটিয়ে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ দু’টি শিখরচূড়া দখল করে নিয়েছে— এমন খবরকেও সেনার তরফে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এলএসিতে চিন ও ভারতের সেনাবাহিনীর সংঘাতের আবহে ব্রিটিশ দৈনিকে প্রকাশিত একটি খবরকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেখানে চিনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিন কানরং জানিয়েছেন, পরমাণু অস্ত্রধর দু’দেশ সীমান্তে একে অন্যের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখের দু’টি শিখরচূড়া থেকে ভারতীয় সেনাকে হটাতে মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র ব্যবহার করেছিল চিনা সেনা। গত ২৯ অগস্ট এই অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ভারতীয় সেনারা বমি করতে শুরু করেন। শিখর দু’টি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। তখন ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ সেগুলিতে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে।
এর পরেই গত কাল ভারতীয় সেনার পক্ষে টুইট করে বলা হয়, ‘‘পূর্ব লাদাখে মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র প্রয়োগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। এটা ভুয়ো খবর।’’ সেনার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘এটা ভারতের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে চিনের চেষ্টা।’’ গত জুন মাসে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। চিনের তরফে অবশ্য হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। তার পর থেকে দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং গত এক সপ্তাহে অন্তত দু’বার ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন ঠিকই। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও উত্তেজনার অবসান হয়নি।
চিনের ওই অধ্যাপক জানিয়েছিলেন, মাইক্রোওয়েভ অস্ত্রের প্রভাবে ভারতীয় সেনারা বমি করতে শুরু করেছিলেন। দু’টি শিখরচূড়া ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে চিনা সেনা সেই চূড়়া দু’টি নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘২৯ অগস্ট কেন, কোনও দিনই পূর্ব লাদাখে এমন ঘটনা ঘটেনি।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এমনটাই যদি হত, তা হলে চিন আমাদের ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বলছে কেন?’’ তিনি জানান, ওই দু’টি শিখরই ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy