Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশ থেকে আরও এক ধরনের পণ্য ভারতে স্থলপথে ঢুকতে পারবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার

কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের আরও এক ধরনের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫ ১৪:১৭
(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশ থেকে আরও এক ধরনের পণ্য ভারতে স্থলপথে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের কোনও পাট বা শণের তৈরি পণ্য স্থলপথে ভারতে ঢুকতে পারবে না। কেবল মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বইয়ে নবসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এই ধরনের পণ্য প্রবেশের অনুমতি মিলবে। গত মে মাসে বাংলাদেশে তৈরি রেডিমেড পোশাকের উপরেও একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রক।

কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের মাটি হয়ে যে সমস্ত পণ্য নেপাল বা ভুটানে যায়, সেগুলির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে পাট ও শণের তৈরি পণ্য নেপাল-ভুটানে পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ। তবে একই পণ্য নেপাল বা ভুটান থেকে পুনরায় ভারতে রফতানি করতে গেলে তার অনুমতি দেওয়া হবে না।

ডিজিএফটি গত মে মাসে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তাতে বলা হয়, বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ইত্যাদি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি করা হবে না। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক এবং পিভিসি দিয়ে তৈরি জিনিস, রঞ্জকের মতো পণ্য। এগুলি বাংলাদেশ থেকে অসম, মিজ়োরাম, মেঘালয় কিংবা ত্রিপুরার কোনও শুল্ককেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রক। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্রের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়। পাশাপাশি, বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেলের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।

এর আগে এপ্রিল মাসে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। বলা হয়েছিল, ভারতের শুল্ককেন্দ্র ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশে পণ্য রফতানি করতে পারবে না বাংলাদেশ। কারণ এতে ভারতীয় রফতানিকারক সংস্থাগুলির সমস্যা হচ্ছে। এই ঘোষণার দিন কয়েক পরেই বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করছে তারা। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয় কেবল স্থলবন্দরের ক্ষেত্রেই। তার পর বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক-সহ একাধিক পণ্যের আমদানিতে ভারত পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল শনিবার।

Bangladesh dhaka India Bangladesh Border Bangladesh Economy Muhammad Yunus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy