আফগানিস্তানে মার্কিন মহাবোমা বিস্ফোরণের ধোঁয়া মেলানোর আগেই সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আজ মস্কোয় বৈঠকে মিলিত হল ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, চিন ও ইরান। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে কথা হয় এই বৈঠকে। ভারতের তরফে ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব দীপক মিত্তল। ভারত এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আফগানিস্তান নিয়ে এমন আলোচনায় সামিল হলো। ভারতের সীমান্তপারের নিরাপত্তার দিক দিয়েও এ দিনের বৈঠকটি ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ ভারতের আশঙ্কা, চিন-পাকিস্তান-রাশিয়া, এই অক্ষটি আফগানিস্তানের সঙ্কট সমাধানের নাম করে আসলে তালিবানের হাতই শক্ত করছে। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘এটা স্পষ্ট যে রাশিয়া আইএস-এর মোকাবিলায় পাকপন্থী তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে উদ্যোগী। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার এই নীতিতে শেষ পর্যন্ত চালকের আসনে বসতে পারে পাকিস্তান। প্রকারান্তরে তাতে সুবিধে হবে পাক জঙ্গিদের।’’ গোয়েন্দা সূত্রে এটাও এখন ভারতের কাছে স্পষ্ট যে, পাক তালিবান এখন আর শুধু কাবুল নয়, কাশ্মীরেও নাশকতার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে। ভারতের তরফে তাই মস্কোর বৈঠকে তালিবানকে প্রশ্রয় দেওয়ার বিপদের কথা বোঝানো হয়। এটাও তুলে ধরা হয় যে, সময় বিশেষে আইএস এবং তালিবান একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নাশকতামূলক কাজকর্ম করে। কিছু দিন আগেই আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হানিফ আতমারও নয়াদিল্লিকে জানিয়েছেন, যখন যেমন দরকার, সেই অনুযায়ী তালিবান এবং আইএস একযোগে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুলভূষণের জন্য ফের আবেদন নয়াদিল্লির
কয়েক দিনের মধ্যেই হতে চলেছে আরও একটি বৈঠক। নয়াদিল্লিতে আসছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার। বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। ম্যাকমাস্টার এর পরে যাবেন ইসলামাবাদে। সেখানেও আলোচনার হবে কাবুল নিয়ে। তার আগে ডোভাল মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাকেও গোটা প্রক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বোঝাবেন। এর কারণ, ট্রাম্প সরকার এখনও আফ-পাক নীতি নির্ধারণ করেনি। ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা আলোচনার পরেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাম্প সরকার। তাই আজকের মস্কো আলোচনার মতোই ডোভাল-ম্যাকমাস্টার বৈঠকটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশের নিরাপত্তার পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy