তথ্য প্রচুর। অথচ গত কালের সাংবাদিক সম্মেলনে এর কোনওটিই বলেননি বিদেশসচিব বিজয় গোখলে। একটি লিখিত বিবৃতি পড়েছেন। একটি প্রশ্নও তাঁকে করতে পারেননি সাংবাদিকেরা। বিদেশসচিবের বিবৃতিতে নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো হয়নি। সর্বদল বৈঠকেও কোনও সংখ্যা বলতে পারেননি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বায়ুসেনার অভিযানের খবর পেয়ে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক বিরোধীই বার্তা দিয়েছেন বাহিনীর পাশে থাকার। কিন্তু একান্তে তাঁরাও প্রশ্ন তুলেছেন, এত গুরুত্বপূর্ণ সব খবরের একটিও কেন সরকারি কোনও পদাধিকারীর প্রকাশ্য বিবৃতিতে নেই? তা হলে এই সব খবরের উৎস কী?
ঘটনা হল, গত কাল বায়ুসেনার অভিযানের খবর বিদেশসচিব জানানো মাত্রই বিজেপির একাধিক সূত্র সেই অভিযানের ‘খুঁটিনাটি’ জানাতে শুরু করেন। সূত্রেরাই দাবি করেন, নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ‘লঞ্চপ্যাড’ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোটের পাহাড়ি শিবিরে জড়ো হয়েছিল কয়েকশো জঙ্গি। আজ রাতেও এক সূত্র দাবি করেছেন, নিজের বাসভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে ফের তাঁদের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও নাকি ছিলেন বৈঠকে। সেনাকে বলা হয়েছে, কবে, কখন, কী ভাবে জবাব দেওয়া হবে— তারাই ঠিক করুক। কিন্তু এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা সরকারি তরফে কোনও বিবৃতি নেই।
আরও পড়ুন: বেজিংয়ে বৈঠক সুষমার, চিনের সন্ত্রাস-বিরোধী বিবৃতি আদায় দিল্লির
আরও পডু়ন: জেনিভা সম্মেলনের শর্ত লঙ্ঘন, বায়ুসেনার পাইলটকে ফেরত দিক পাকিস্তান, দাবি ভারতের
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা গত কালই টুইটারে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, ‘‘সূত্র উদ্ধৃত করে তিনশোর বেশি মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে। যার ভিত্তি নেই। সেই অঙ্কটি সরকার যাচাই করলে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের তো জানাত!’’
কারা এই সূত্র? সরকারি খোলাখুলি বিবৃতিতে সমস্যাই বা কোথায়?
সূত্র মিলছে না!