১২৯জন ছাত্রের গ্রেফতারি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার আমেরিকাকে ডিমার্শ (প্রতিবাদ পত্র) পাঠাল। ধৃত পড়ুয়াদের ব্যাপারে কূটনৈতিক ফয়সালা করাই এখন নয়াদিল্লির সামনে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ’ বিষয় বলে বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পক্ষে জানানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার জন্য ভারতের তরফে ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমেরিকাকে বলা হয়েছে, ভারতীয় পড়ুয়াদের মুক্তি দেওয়া হোক। তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া যেন চালানো না হয়।
সম্প্রতি ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে মোট ১৩০ জন পড়ুয়াকে আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি। এর মধ্যে ১২৯ জনই ভারতীয়। অভিযোগ, এঁরা নাকি আমেরিকায় থাকার মেয়াদ বাড়াতেই জেনেশুনে ডেট্রয়টের এক ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ধৃতদের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয় যে ভুয়ো, অভিযুক্তরা তা জানতেন না। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। বাকিদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। ধৃত পড়ুয়াদের ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য হেল্পলাইনের ব্যবস্থা হয়েছে। নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসে আজ প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়ে ভারত বলেছে, অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং ধৃত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আলাদা ভাবে দেখা হোক।
এরই মধ্যে একটি খবর সামনে এসেছে যে ধৃত ভারতীয় ছাত্রদের গতিবিধি নজরে রাখতে জন্তুর মতোই তাঁদের পায়ের ‘রেডিয়ো ট্যাগ’ লাগানো হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরে তাঁদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই খবরের সত্যতা এখনও পর্যন্ত যাচাই করা যায়নি। তবে ২০১১ সালে আমেরিকায় অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধৃত ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে এই ধরনেরই ঘটনা ঘটায় এ বারও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।