শুল্ক নিয়ে ভারত-আমেরিকার মধ্যে টানাপড়েন চললেও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কিন্তু দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আমেরিকা থেকে ঘাতক পি৮আই বিমান কেনার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। সমুদ্রপথে নৌসেনাকে আরও শক্তিশালী করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ থেকে মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট আনা হতে পারে।
সূত্রের খবর, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই বিমান কেনার জন্য ৪০০ কোটি টাকার চুক্তি হচ্ছে। আগামী ১৬-১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমেরিকা থেকে দিল্লিতে একটি প্রতিনিধিদল আসার কথা রয়েছে। সেই প্রতিনিধিদলে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর, বোয়িং এবং বেশ কয়েকটি সংস্থার আধিকারিকেরা থাকতে পারেন।
ভারতের কাছে বর্তমানে ১২টি পি৮আই বিমান আছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নজরদারি আরও মজবুত করতে এবং সমুদ্রের গভীরে শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজকে খুঁজে নিশানা বানাতে এই ঘাতক বিমান আরও বেশি করে মোতায়েন করতে চাইছে ভারত। তাই আরও ছ’টি এই বিমান কেনার জন্য আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গত কয়েক বছরে চিনের রণতরী এবং ডুবোজাহাজের মোতায়েন বেড়েছে। যদিও চিন দাবি করে, এগুলি সমুদ্রে পরীক্ষানিরীক্ষা এবং গবেষণার জন্য এবং এই অঞ্চলে জলদস্যুদের ঠেকাতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের এই বাড়বাড়ন্তের কারণেই নিজেদেরও প্রস্তুত রাখতে নৌসেনাকে আরও মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন ধরেই।
২০০৯ সালে প্রথম আটটি পি৮আই বিমান কিনেছিল ভারত। ২০১৬ সালে আরও চারটি কেনা হয়। নৌসেনার তরফে আরও ১০টি পি৮আই বিমানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৯ সালে ছ’টি কেনার জন্য অনুমোদন মেলে। ২০২১ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এই বিমানের জন্য সবুজ সঙ্কেত মেলে।
কী বিশেষত্ব রয়েছে এই বিমানের?
এই বিমান অনেক দূর পর্যন্ত নজরদারি চালাতে সক্ষম। এমনকি সমুদ্রে গভীরে শত্রুপক্ষের জাহাজকে আনায়াসে চিহ্নিত করে নিশানা বানাতে পারে। ৪১ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে এই বিমান। শুধু তা-ই নয়, একবারে ৮৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এই বিমানটি রণতরী ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র, লাইটওয়েট টর্পেডোর মতো ঘাতক অস্ত্রে সজ্জিত।